ইউরোজোনের সঙ্গে আলোচনায় গতি আনা এবং সমঝোতার পথ সুগম করতে ইয়ানিস ভারুফাকিসের পদত্যাগের পর নতুন অর্থমন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছে গ্রিস সরকার।
Published : 07 Jul 2015, 03:17 AM
তুলনামূলক নমনীয় বলে পরিচিত ইউক্লিড সাকালোতস সোমবারই তার পূর্বসূরি ভারুফাকিসের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
এর আগে সোমবার সকালে এক বিবৃতিতে অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান স্বঘোষিত ‘ব্যতিক্রমী মার্কসিস্ট’ অর্থনীতিবিদ ভারুফাকিস, যিনি অপ্রচলিত ধরনের কঠোর বক্তব্য-বিবৃতির মাধ্যমে ইউরো জোনের অংশীদারদের বিরাগভাজন হন।
দাতাদের কাছ থেকে কঠোর শর্তে ঋণ সহায়তার (বেইল আউট) বিষয়ে গণভোটে ‘না’ ভোটের পক্ষে ব্যাপক প্রচারণা চালানো ভারুফাকিস গ্রিসের ঋণদাতাদের ‘সন্ত্রাসী’ বলে অভিহিত করেছিলেন।
৫৫ বছর বয়সী নতুন অর্থমন্ত্রী সাকালোতস প্রধান অর্থনৈতিক মুখপাত্র এবং সিপ্রাস সরকারের কার্যকরী ছায়া অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
২০১২ সাল থেকে গ্রিস পার্লামেন্টের সদস্য হলেও রাজনীতি থেকে অ্যাকাডেমিক ক্ষেত্রেই বেশি চলাফেরা করেছেন এথেন্স ইউনিভার্সিটি অফ ইকোনোমিক্সের এই অধ্যাপক। গ্রিক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গর্ভনর ইয়ানিস তুর্নানারাসের সঙ্গে সহ-লেখক হিসেবে বইও লিখেছেন সাকালতস।
নেদারল্যান্ডে জন্ম নেওয়া সাকালতস রাজনীতি, দর্শন ও অর্থনীতিতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক। পরে ১৯৮৯ সালে একই বিষয়ে তিনি পিএইচডি করেন।
শাসকদল সিরিজা পার্টির দীর্ঘদিনের সঙ্গী সাকালোতসকে তুলনামূলক কম বিতর্কিত স্টাইলের জন্য দাতারাও ভালভাবে গ্রহণ করবে বলে অনেকে মনে করছেন।
তবে বামপন্থি শাসক দলের অর্থনৈতিক পরিকল্পনার একজন হিসেবে নতুন অর্থমন্ত্রী আচরণে নমনীয় হলেও নীতির ক্ষেত্রে খুব একটা পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখছেন না কেউ কেউ।