গ্রিসের গণভোটের অপ্রত্যাশিত ফলাফলে অপ্রস্তুত ফ্রান্স ও জার্মানি ইউরো জোনের নেতাদের জরুরি বৈঠকে ডেকেছেন।
Published : 06 Jul 2015, 12:17 PM
রোববার জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ টেলিফোন আলোচনার পর জরুরী বৈঠকের ডাক দেন।
তাদের ডাকে সারা দিয়ে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক ঘোষণা করেছেন, ইউরো জোনের নেতারা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব্রাসেলসে বৈঠকে বসবেন।
এর আগে বেইল আউটের শর্ত প্রত্যাখ্যান করে দেওয়া গ্রিসের গণভোটের রায় নিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি দেওয়ার লক্ষ্যে সোমবার বিকেলে প্যারিসে মের্কেল ও ওঁলাদ বৈঠক করবেন।
গ্রিসের গণভোটে ‘না’ এর পক্ষে বিপুল ভোট পড়ায় ইউরোপের অভিন্ন মুদ্রা থেকে গ্রিসকে বের দেওয়ার পক্ষে জার্মানিতে জনমতের চাপ তৈরি হচ্ছে।
জার্মান ভাইস চ্যান্সেলর সিগমার গ্যাব্রিয়েল বলেছেন, বেইল আউটের শর্ত ব্যাপকভাবে প্রত্যাখ্যানের মধ্য দিয়ে গ্রিস ইউরো জোন অংশীদারদের সঙ্গে সমঝোতার শেষ আশাকেও ক্ষতিগ্রস্থ করেছে।
ব্যয় সংকোচন আরো কঠোর করার বিপক্ষে গ্রিকরা ভোট দেওয়ার পর আরো শত শত কোটি ইউরো এথেন্সকে দেওয়ার বিষয়ে নতুন করে দরকষাকষি শুরু করা কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
জার্মানির একটি দৈনিককে তিনি বলেছেন, “একটি সমঝোতার দিকে এগোনোর জন্য গ্রিস ও ইউরোপের মধ্যে থাকা শেষ সেতুবন্ধটিও (গ্রিসের) বামপন্থী প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস ছিন্ন করে ফেলেছেন।”
তার এই মন্তব্যে ১৯ জাতির মুদ্রা (ইউরো) ব্যবস্থা থেকে এথেন্সকে বের দেওয়ার বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রভাবশালী রাষ্ট্র জার্মানির জনমতের চাপ প্রতিফলিত হয়েছে। এই দেশটিই গ্রিসের সবচেয়ে বড় ঋণদাতা। যদিও অভিন্ন মুদ্রা ব্যবহারকারী ১৯ জাতির ইউরো জোন চুক্তিতে কোনো সদস্য দেশকে বাদ দেওয়া বা কোনো সদস্য দেশের সরে যাওয়ার কোনো বিধান নেই।
তবে চ্যান্সেলর মের্কেলও এ রকম কঠোর কোনো অবস্থান নিয়েছেন কিনা তা পরিষ্কার নয়। গণভোটের আগে গ্রিসকে ইউরো জোনে রাখার ইচ্ছা বারবার ব্যক্ত করেছিলেন তিনি।
গ্রিসকে ঋণ দিতে দিতে বিরক্ত কট্টর দেশগুলোর নেতৃত্বে জার্মানি থাকলেও ফ্রান্স ও ইতালি গ্রিসের প্রতি কিছুটা সহানুভূতিশীল।