ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হাতে বন্দি নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের ভাগ্যে কি ঘটেছে সেটা জানতে একসঙ্গে কাজ করছে জাপান ও জর্ডান।
Published : 30 Jan 2015, 06:35 PM
বন্দি বিনিময় নিয়ে আইএস’র বেঁধে দেয়া দুই দফা সময় এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে। জর্ডান সরকার আইএস’র দাবি অনুযায়ী ইরাকের নারী জঙ্গিকে এখনও ছেড়ে দেয়নি।
সিরিয়ার আইএস জঙ্গিদের হাতে জাপানের একজন সাংবাদিক এবং জর্ডানের একজন বিমান চালক বন্দি আছেন।
সাংবাদিক কেনজি গোতোর মুক্তির জন্য সবভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেন, “আমরা জর্ডান এবং অন্যান্য দেশকে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছি। সেই সঙ্গে আমরা কেনজি গোতোর ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ ও তা বিশ্লেষণ করে দেখছি। গোতোকে মুক্তি নিশ্চিত করতে আমরা সব ধরণের চেষ্টাই করছি।”
বৃহস্পতিবার আইএস’র পক্ষ থেকে একটি অডিও বার্তা প্রকাশ করা হয়। সেখানে গোতোকে বলতে শোনা যায়, নারী জঙ্গি সাজিদা আল-রিশাউইকে সূর্যাস্তের মধ্যে মুক্ত করা না হলে জর্ডানের বিমান চালককে হত্যা করা হবে।
২০০৫ সালে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে একটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৬০ জন প্রাণ হারায়। ওই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার আল-রিশাউই জর্ডানের কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার আইএস একটি বার্তা প্রকাশ করেছিল। যেখানে গোতোকে বলতে শোনা যায়, ২৪ ঘন্টার মধ্যে আল-রিশাউইকে ছেড়ে দেয়া না হলে তাকে এবং জর্ডানের বিমান চালককে হত্যা করা হবে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে জর্ডান সরকার বন্দি বিমান চালক মুয়াথ আল-কাসায়েবেহের মুক্তির বিনিময়ে আল-রিশাউইকে ছেড়ে দিতে রাজি হয়েছিল।
আইএস বৃহস্পতিবার দ্বিতীয়বার সময় বেঁধে দেয়ার পর জর্ডান সরকারের মুখপাত্র মোহাম্মদ আল-মোমানি রয়টার্সকে বলেন, “আমাদের বিমান চালক এখনো জীবিত আছেন… আমাদের সেই প্রমাণ চাই। সেই ক্ষেত্রে আমরা বন্দি বিনিময় করার প্রস্তাব অনুযায়ী সামনে অগ্রসর হব।”
গোতোকে মুক্ত করতে জর্ডান জাপান সরকারকে সহায়তা করছে বলেও জানান মোমানি। ডিসেম্বরে আইএস’র বিরুদ্ধে বিমান হামলায় অংশ নেয়ার সময় আল-কাসায়েসবেহের বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর তাকে বন্দি করে জঙ্গি সংগঠনটি।
যুদ্ধ প্রতিবেদক গোতো সিরিয়া যান অক্টোবরের শেষের দিকে। গোতোর বন্ধুরা জানান, গোতো আইএস’র হাতে বন্দি তার বন্ধু হারুনা ইউকাওয়ার মুক্তির ব্যাপারেই সিরিয়া গিয়েছিলেন। ইউকাওয়াকে হত্যা করা হয়েছে বলে খবর প্রকাশ পেয়েছে।