বুধবার পেশমেরগা বাহিনীর ৯০ থেকে ১০০ জনের একটি দল তুর্কি সীমান্ত অতিক্রম করে সিরিয়ায় প্রবেশ করে।
এদিন রাতে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিরা কোবানিতে অন্ততপক্ষে এক ডজন গোলা নিক্ষেপ করে। গোলাগুলো শহরের ভিতরে গিয়ে পড়ে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার গোষ্ঠী ‘সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’ (এসওএইচআর) ।
কোবানির প্রতিরোধ যুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া সিরীয় কুর্দিদের প্রধান সশস্ত্র গোষ্ঠী ওয়াইপিজি’র সঙ্গে আইএস জঙ্গিদের লড়াই অব্যাহত আছে বলেও জানিয়েছে এসওএইচআর। শহরটির দক্ষিণ প্রান্তে আইএস যোদ্ধাদের সঙ্গে ওয়াইপিজি যোদ্ধাদের তীব্র গোলাগুলি চলছে।
এছাড়া পেশমেরগা যোদ্ধারা আসার আগেই সীমান্তপথের একটি সদর দরজা দখল করার জন্য আইএস জঙ্গিরা বারবার চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়। এই দরজায় পেশমেরগা বাহিনীকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি নিয়েছে কোবানির কুর্দি যোদ্ধারা।
তুর্কি সীমান্তের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সিরীয় শহর কোবানি। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে শহরটি অবরুদ্ধ করে রেখেছে আইএস জঙ্গিরা। কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর বিমান হামলায় তাদের কয়েকশত যোদ্ধা নিহত হওয়ার পরও তাদের অবরোধ ভেঙে পড়েনি।
কোবানির প্রতিরোধ যুদ্ধরত কুর্দিরা আশা করছে, ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পেশমেরগার যোদ্ধারা এলেই পরিস্থিতির মোড় ঘুরে যাবে।
এর আগে পেশমেরগা বাহিনীর জিপ ও ট্রাকগুলো উত্তর ইরাকের সীমান্ত অতিক্রম করে তুরস্কে প্রবেশ করলে কুর্দি অধ্যুষিত দক্ষিণ তুরস্কের মানুষ তাদের বীরের মর্যাদা দিয়ে স্বাগত জানায়। তারা এই এলাকার ভিতর দিয়ে ৪শ’ কিমি পথ অতিক্রম করে কোবানিতে যাবে।
তিনদশক ধরে স্থানীয় কুর্দিদের বিদ্রোহ মোকাবিলা করা তুরস্কের ভিতর দিয়ে ভারী মেশিনগান, কামানের মতো অস্ত্র নিয়ে ইরাকি কুর্দি বাহিনীর এই যাত্রা স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে অভাবিত ছিল।
পেশমেরগা বাহিনীকে তার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা জন্য হুমকি মনে করে না তুরস্ক। তাই এই বাহিনীকে অস্ত্রশস্ত্রসহ নিজ দেশের ভিতর দিয়ে প্রতিবেশী দেশ সিরিয়ায় যেতে দিয়েছে দেশটির সরকার। তবে এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক চাপও ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে।
এদের আগে পেশমেরগা বাহিনীর একটি প্রাথমিক দল বিমানযোগে উত্তর ইরাকের আর্বিল থেকে বুধবার সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তুর্কি শহর সানলিউরফা এসে পৌঁছায়। এদের সংখ্যা ৯০ থেকে ১০০ জন হবে বলে জানিয়েছেন্ কোবানির সিরিয়ার কুর্দি জাতীয় পরিষদের সদস্য আদম বাশো।