ভারতের লোকসভা নির্বাচনে এবার মোদি ঢেউয়ে তলিয়ে যাওয়ার কথা আর স্বীকার না করে পারছে না ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেস।
Published : 06 Apr 2014, 06:17 PM
নতুন জরিপ বলছে, নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) যত আসন পাবে, তার অর্ধেক পেতে পারে কংগ্রেস।
এনডিটিভির এক নতুন জনমত জরিপে কংগ্রেসের ওপর প্রধান বিরোধীদল বিজেপি’রই আধিপত্য দেখা গেছে।
জরিপ বলছে, ভারতের বড় বড় রাজ্য গুজরাট, দিল্লি, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, উত্তর প্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং মহারাষ্ট্রের কোথাওই কংগ্রেস বেশি আসন পাচ্ছে না বিজেপির’ চেয়ে। এমনকি কয়েকমাস আগে কর্ণাটকে কংগ্রেস ভাল ফল করলেও এবার একাধিক জরিপে দেখা যাচ্ছে, সে রাজ্যটিও চলে যাচ্ছে বিজেপি’র হাতে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কংগ্রেসের বিপক্ষে ভোট পড়ার চেয়ে এবার মোদির অনুকুলে ভোট বেশি পড়বে। আর সে ঢেউয়েই তলাবে কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে ভারতজুড়ে কংগ্রেসকে এবারই প্রথম ছাড়িয়ে যাবে বিজেপি।
সিএনএন-আইবিএন এবং সিএসডিএস পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ২১৮ টি আসন জিততে পারে। আর বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট পেতে পারে ২৩৪ থেকে ২৪৬টি আসন।
জরিপের ফল অনুযায়ী কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ পেতে পারে ১১১ থেকে ১২৩টি আসন। জরিপের এ তথ্যানুযায়ী- এনডিএ’র অর্ধেক আসন পাবে ইউপিএ।
অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানায় চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বিজেপি। জরিপ বছলে, টিডিপি পেতে পারে ১৯ টি আসন। আর এভাবে বিজেপি’র এনডিএ জোটের মোট আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ২৬৫ তে। সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ ২৭২ ভোট থেকে যা মাত্র ৭ টি ভোট কম।
দ্য মার্চ ইলেকশন ট্র্যাকারের জরিপে বলা হয়েছে, বিজেপি এককভবে ২০৬ থেকে ২১৮ আসন পেতে পারে। আর কংগ্রেস এককভাবে পেতে পারে ৯৪ থেকে ১০৬ আসন।
জরিপে অংশ নেয়া প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার জন্য মোদির ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মত দিলেও পার্টির জন্য এখনো তাকে অসাধারণ সম্পদ হিসাবেই দেখা হচ্ছে। তার অবিরাম প্রচারাভিযানে একজন উদ্যমী রাজনীতিবিদ হিসাবেই প্রতিভাত হচ্ছে তার ভাবমূর্তি। ভোটারদের কাছে নতুন করে ৩০০ আসনের জন্য ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে মোদি আত্মপ্রত্যয়ের পরিচয় দিচ্ছেন। তাছাড়া, নির্বাচনের বিজ্ঞাপনী প্রচারেও কংগ্রেসের চেয়ে বিজেপি ভাল করছে।
মোদির জন্য কেবল ২৭২ আসন পাওয়াটাই সন্তোষজনক নয়। তিনি আরো আধিপত্য চান। আত্মরক্ষামূলক অবস্থানে থাকা কংগ্রেসের সঙ্গে এদিক থেকেই সম্পূর্ণ ভিন্ন অবস্থানে চলে গেছেন মোদি। নির্বাচনী প্রচারে তার যে উৎসাহ-উদ্দীপনা সেই একই উদ্দীপনা নির্বাচনী প্রচারে দেখা যাচ্ছে না সোনিয়া কিংবা গান্ধি শিবিরের।