চীনে একটি রেস্তোরাঁয় এক নারীর উপর একদল পুরুষের হামলার ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ নয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
Published : 12 Jun 2022, 07:53 PM
বিবিসি জানায়, হুবেই প্রদেশের তাংশান শহরে ঘটা ওই ঘটনা চীনে নারীদের উপর সহিংসতার মাত্রা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছে।
চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইবো তে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওয় দেখা যায়, রেস্তোরাঁয় এক ব্যক্তি পেছন থেকে এসে একটি চেয়ারে বসে থাকা এক নারীর পিঠে আপত্তিকরভাবে হাত দেয়। ওই নারী ওই ব্যক্তিকে ঠেলে সরিয়ে দেন।
তারপরই প্রথমে ওই ব্যক্তি নারীকে আঘাত করেন। দুজনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। ওই ব্যক্তির সঙ্গে থাকা অন্যরাও ওই নারীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে মারধর করতে শুরু করেন।
তারা ওই নারীকে ধাক্কা দিয়ে রেস্তোরাঁর বাইরে বের করে নিয়ে মারধর করতে থাকেন। ওই নারীর সঙ্গে থাকা অন্য এক নারীকেও তারা মারধর করেন। এমনকী দুই নারীকে ফুটপাতে ফেলে দিয়ে চুল ধরে কিল-ঘুষি-লাথি মারতেও দেখা যায়।
হামলার শিকার দুই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানান স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা। বলেন, তাদের আঘাত গুরুতর নয়। এ ঘটনায় আরো দুইজন সামান্য আহত হয়েছেন বলেও জানান তারা।
এ ঘটনায় ‘বিশৃঙ্খলায় উসকানি দেওয়া’ এবং নৃশংস নির্যাতনে সামিল থাকার সন্দেহে নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় তাংশান পুলিশ।
শনিবার চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবো তে রেস্তোরাঁয় নারীর উপর হামলার ওই ঘটনা প্রধান আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছিল।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়েছে।
উইবো তে একজন মন্তব্য করেন, ‘‘এ সব কিছু আমার সঙ্গেও ঘটতে পারত, আমাদের যে কারও সঙ্গে এমনটা হতে পারত।”
অন্য একজন লেখেন, ‘‘২০২২ সালে এসে এ ধরনের কাণ্ড কীভাবে সম্ভব? ‘দয়া করে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করে শাস্তির ব্যবস্থা করুন এবং তাদের কাউকে ছাড় দেবেন না।”
চীনে নারীদের প্রতি সহিংসতার ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটতে দেখা যায়।