ইউরোপকে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করতে রাশিয়া জ্বালানিকে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
Published : 28 Apr 2022, 03:37 PM
জনগণের উদ্দেশ্যে দেওয়া দৈনিক রাত্রিকালীন বক্তৃতায় বুধবার একথা বলেছেন জেলেনস্কি, জানিয়েছে বিবিসি।
তিনি বলেন, বুলগেরিয়া ও পোল্যান্ডে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া দেখিয়েছে ইউরোপের কেউই রাশিয়ার সঙ্গে ‘স্বাভাবিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা বজায় রাখার আশা করতে পারে না’।
“রাশিয়া শুধু গ্যাস না, যে কোনো বাণিজ্যকেই অস্ত্র হিসেবে বিবেচনা করে। অন্য বাণিজ্য এলাকাগুলো ব্যবহার করার সুযোগের জন্য তারা অপেক্ষা করে আছে,” বলেছেন তিনি।
জেলেনস্কি আরও বলেন, রাশিয়া ‘ঐক্যবদ্ধ ইউরোপকে একটি লক্ষ্যস্থল হিসেবে দেখে’ এবং তারা যে বাণিজ্যের জন্য রাশিয়ার ওপর নির্ভর করতে পারবে না এটি শিগগিরই এই মহাদেশের সবাই মেনে নেবে, আর তা যত তাড়াতাড়ি হবে স্থিতিশীলতাও আসবে।
রাশিয়া বিশ্ব বাজারে, বিশেষ করে খাদ্যের বাজারে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায় বলে অভিযোগ করেন তিনি। পাশপাশি ইউক্রেইনের রপ্তানির ওপর শুল্ক ও কোটা তুলে নেওয়ার বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে হওয়া চুক্তিকে স্বাগত জানান।
“ইউক্রেইনের রপ্তানি বাজারকে স্থিতিশীল হতে সাহায্য করবে এবং সংকটের সময় দেশের অর্থনীতিকে সহায়তা যোগাবে,” বলেছেন তিনি।
মস্কো বুলগেরিয়া ও পোল্যান্ডে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার পর এক মন্তব্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নও বলেছে, রাশিয়া গ্যাস নিয়ে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করছে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লায়েন বলেছেন, এতে সরবরাহকারী হিসেবে রাশিয়ার ‘অবিশ্বস্ততা’ ফুটে উঠেছে।
কিন্তু ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এই সমালোচনা উড়িয়ে দিয়ে মস্কোকে নির্ভরযোগ্য জ্বালানি অংশীদার বলে দাবি করেছেন।
রুবলে মূল্য পরিশোধ করতে অস্বীকৃতি জানানোয় বুলগেরিয়ার কোম্পানি বুলগারগাজ ও পোল্যান্ডের কোম্পানি পিজিএনআইজিকে গ্যাস সরবরাহ করা পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়ার গ্যাজপ্রম। ক্রেমলিন বলেছে, পশ্চিমা দেশগুলোর ‘অবন্ধুসুলভ পদক্ষেপের’ কারণে রাশিয়া এমনটি করতে বাধ্য হয়েছে।
আরও পড়ুন: