রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনার জন্য ইউক্রেইনের একটি প্রতিনিধি দল তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে পৌঁছেছে।
Published : 29 Mar 2022, 10:45 AM
মঙ্গলবার ইস্তাম্বুলের স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় এ বৈঠক শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ইউক্রেইনের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে আছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ এবং প্রেসিডেন্ট দপ্তরের প্রধান কর্মকর্তা মিহাইল পদোইলাক।
এই প্রতিনিধি দলটি জানিয়েছে, আলোচনায় তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হবে যুদ্ধবিরতি।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়িপ এরদোয়ানের উদ্যোগে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় পর এই প্রথম রাশিয়া ও ইউক্রেইনের প্রতিনিধিরা মুখোমুখি আলোচনায় বসছেন।
আলোচনায় ইউক্রেইন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন নেটো সামরিক জোটে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা ত্যাগ করবে, রাশিয়ার এ দাবিও প্রাধান্য পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, এ ইস্যুতে তিনি আপস করতে ইচ্ছুক।
অন্যান্য যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে তার মধ্যে পূর্ব ইউক্রেইনে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অধিকৃত অঞ্চলগুলোর ভবিষ্যৎ, ২০১৪ সালে রাশিয়ার অংশীভূত করে নেওয়া ক্রাইমিয়ার মর্যাদা ইত্যাদি বিরোধপূর্ণ ইস্যুগুলো থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মুখোমুখি এ আলোচনায় কোনো ভূখণ্ড বা সার্বভৌমত্বের বিষয়ে আপস না করেই তারা যুদ্ধবিরতি চাইবে বলে জানিয়েছে কিইভ।
ইস্তাম্বুলের আলোচনা নিয়ে ইউক্রেইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে বলেছেন, “আমরা মানুষ, ভূখণ্ড বা সার্বভৌমত্ব লেনদেন করছি না। নূন্যতম কর্মসূচী হবে মানবিক প্রশ্ন আর সর্বোচ্চ লক্ষ্য হবে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছানো।”
তবে আলোচনা সফল হবে কি না, তা নিয়ে তিনি ‘সন্দিহান’ বলে জানিয়েছেন ইউক্রেইনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ভাদিম দেনিশেঙ্কো।
এদিকে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত যত আলোচনা হয়েছে তাতে বাস্তব অগ্রগতি তেমন কিছু হয়নি, কিন্তু মুখোমুখি আলোচনা চালিয়ে যাওয়া দরকার। কিন্তু আর বিস্তারিত কিছু জানাতে রাজি হননি তিনি।
রাশিয়ার প্রতিনিধি দল সোমবারই ইস্তাম্বুলে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। তবে তাদের দলটির নেতৃত্বে কারা আছেন, তা জানা যায়নি।