কয়েক দিন আগেও সামি সাদাত ছিলেন আফগান বাহিনীর একজন কমান্ডার। এখন তার মনে হচ্ছে, তার সঙ্গে এবং পুরো আফগান বাহিনীর সঙ্গে `বিশ্বাসঘাতকতা’ করা হয়েছে।
Published : 26 Aug 2021, 08:18 AM
তিনি বলছেন, তালেবান বাহিনী দেশের দখল নেওয়ার পর আফগানিস্তানের রাজনীতিবিদ এবং এতদিনের আমেরিকান সহযোগীরা পালানোর জন্য বিমানবন্দরে যে নজিরবিহীন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে, তার মধ্যে দিয়ে আফগান বাহিনীর সদস্যদের কার্যত শত্রুর মুখে ফেলে যাওয়া হয়েছে।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাদাত আফগানিস্তান ন্যাশনাল আর্মির ২১৫ মাইওয়ান্ড কোরের কমান্ডার হিসেবে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে তালেবানের সঙ্গে লড়াইয়ে ছিলেন কিছুদিন আগেও।
তার লেখা একটি নিবন্ধ বুধবার প্রকাশ করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। সেখানে সাদাত বলেছেন, তিনি ‘ক্লান্ত, হতাশ, এবং ক্ষুব্ধ।”
আফগানিস্তানের জাতীয় গোয়েন্দা দপ্তরের একজন জ্যেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সাদাত লিখেছেন, গত সাড়ে তিন মাস হেলমন্দ প্রদেশে তালেবান যোদ্ধাদের সঙ্গে ‘দিন রাত’ রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মধ্যে কেটেছে তার।
“দফায় দফায় আমরা আক্রমণের শিকার হয়েছি, কিন্তু তালেবানকে ঠেকিয়ে রেখেছি, বহু যোদ্ধা নিহত হয়েছে। তারপর একদিন আমাকে কাবুলে ডেকে পাঠানো হল স্পেশাল ফোর্সের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য। কিন্তু ততক্ষণে তালেবান শহরে ঢুকতে শুরু করেছে, অনেক দেরি হয়ে গেছে।”
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং পশ্চিমা মিত্ররা এখন আফগান সৈন্যদের দুষছে। তারা বলছে, বিনা প্রতিরোধে হাল ছেড়ে দিয়েছে আফগান বাহিনী।
তাদের এমন আচরণের স্তম্ভিত সাদাতের ভাষায়, কেন আফগান বাহিনীর প্রতিরোধ ভেঙে পড়ল, ‘ভেতরে’ আসলে কী ঘটেছিল, সেই কথাটাই তারা বলছে না।
“আফগান আর্মির লড়াই করার ইচ্ছা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, এটা সত্যি। কিন্তু তার মূল কারণ হল, আমাদের সৈন্যরা এটা বুঝে গিয়েছিল, আমাদের আমেরিকান অংশীদাররা আমাদের ত্যাগ করেছে। গত কয়েক মাসে মিস্টার বাইডেনের কথায়, তার শব্দ চয়নে যে অসম্মান আর যে বৈরিতা ছিল, তাতেই সৈন্যদের মধ্যে ওই ধারণা বদ্ধমূল হয়ে গিয়েছিল।
“হ্যাঁ, আফগান বাহিনীকে দোষারোপ করাই যায়, স্বজনপ্রীতি, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা – এরকম অনেক সমস্যাই বাহিনীতে আছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরা লড়াই বন্ধ করেছি এই কারণে যে আমাদের অংশীদাররা আগেই যুদ্ধ থামিয়ে দিয়েছে।”
লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাদাত লিখেছেন, কাবুল আর ওয়াশিংটনের মধ্যে যে রাজনৈতিক দূরত্ব তৈরি হয়েছিল, তাতে আফগান বাহিনীর ‘দমবন্ধ দশা’ হয়েছিল, তাদের কাজ ঠিকভাবে করার সামর্থ্যই কমে গিয়েছিল।
“লড়াইয়ের যেসব সরঞ্জাম আমাদের বহু বছর ধরে দিয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র, সেসব হারিয়ে আমরা পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলাম। মার্কিন বা আফগান নেতৃত্বের কাছ থেকে স্পষ্ট কোনো দিক নির্দেশনাও আমরা পাইনি।”
আফগান সেনাবাহিনীর তিন তারকা জেনারেল সাদাত দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে তালেবানের সঙ্গে লড়াইয়ে ১৫ হাজার সৈন্যের নেতৃত্ব দিয়েছেন ১১ মাস ধরে। সেই লড়াইয়ে শত শত অফিসার আর সৈন্যকে তাদের হারাতে হয়েছে।
“সে কারণেই, ক্লান্ত, হতাশ এই আমি আজ বাস্তব পরিস্থিতিটা তুলে ধরতে চাইছি। আফগান সেনাবাহিনীর সম্মান রক্ষা করতে চাইছি। আমাদের অনেকে সাহস নিয়ে, গৌরবের সঙ্গে যুদ্ধ করে গেছে, কিন্তু বাস্তবতা হল, আমেরিকনরা আর আফগান নেতারা তাদের ডুবিয়ে দিয়ে গেছে।”
দুই সপ্তাহ আগে প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি যখন দেশের এলিট যোদ্ধাদের বাহিনী স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডার হিসেবে লেফটেন্যান্ট জেনারেল সামি সাদাতের নাম ঘোষণা করলেন, তখন তিনি দক্ষিণের শহর লস্কর গায়ে তালেবানের সঙ্গে লড়ছেন।
নিজের বাহিনীকে সেখানে রেখে যুদ্ধের নতুন দায়িত্ব নিতে ১৫ অগাস্ট তিনি পৌঁছালেন রাজধানী কাবুলে। তখনও তিনি ‘জানতেন না’, এরইমধ্যে পরিস্থিতি আয়ত্বের বাইরে চলে গেছে।
স্পেশাল ফোর্সের নেতৃত্বের সঙ্গে কাবুলের নিরাপত্তার দায়িত্বও সাদাতের কাঁধে তুলে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট গানি।
“কিন্তু সেই দায়িত্ব পালনের কোনো সুযোগই আমি পাইনি। তালেবান ততক্ষণে শহর ঘিরে ফেলেছে, আর প্রেসিডেন্ট গানিও দেশ ছেড়ে চলে গেলেন।”
সাদাত লিখেছেন, “আমরা যে বিশ্বাসঘাতকতার শিকার, সেই অনুভূতি ওই মুহূর্তে আরও প্রবল হয়েছে। মিস্টার গানি দ্রুত সরে পড়ে তালেবানের সঙ্গে দর কষাকষিতে যাওয়ার, অন্তর্বর্তীকালীন একটা চুক্তিতে যাওয়ার সুযোগ শেষ করে দিয়েছেন।
“সেটা করতে পারলে আমরা আরও কিছু সময় পেতাম, কাবুলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারতাম, তাতে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার কাজটাও ঠিকভাবে করা যেত। তার বদলে কী হল? চরম বিশৃঙ্খলা নিশ্চিত করা হল। কাবুল বিমানবন্দরে মরিয়া হয়ে মানুষের পালানোর অভাবনীয় দৃশ্য দেখলাম আমরা।”
সাদাত বলছেন, “এটা হল মিস্টার বাইডেনের ১৬ অগাস্ট বলা সেই কথার ফল, যখন তিনি বললেন, আফগান বাহিনী ভেঙে পড়েছে, ‘কখনও কখনও লড়াই না করেই’। কিন্তু আমরা তো সাহসের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত লড়ে গেছি। গত ২০ বছরে আমাদের ৬৬ হাজার সৈন্য নিহত হয়েছে। এই সংখ্যা আমাদের মোট সেন্য সংখ্যার এক পঞ্চমাংশের সমান।”
আফগান বাহিনী কেন ভেঙে পড়ল, তার তিনটি কারণ নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত নিবন্ধে তুলে ধরেছেন সাদাত।
প্রথমটি হল ২০২০ সালে দোহায় তালেবানের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সেই শান্তি চুক্তি। ওই চুক্তিতেই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনীকে সরিয়ে নেওয়ার একটি সময়সীমা ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল। সাদাতের ভাষায়, ওই চুক্তিই আফগান বাহিনীর আশা ‘নিভিয়ে দিয়েছে’।
দ্বিতীয়ত, মার্কিন সরবরাহকারীরা আফগান বাহিনীকে সরঞ্জাম দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। মেনটেইনেন্স সুবিধাও আর পাওয়া যাচ্ছিল না। অথচ যুদ্ধের ময়দানে এগুলো ছিল খুবই জরুরি।
তৃতীয়ত, গানির সরকারে ‘দুর্নীতির মহামারী’। সাদাতের ভাষায়, ওই দুর্নীতি সেনাবাহিনীর নেতৃস্থানীয়দেরও গ্রাস করেছিল। তাতে মাঠ পর্যায়ের সৈন্যরা কার্যত ‘পঙ্গু’ হয়ে গিয়েছিল, পরিস্থিতি এতটাই নাজুক হয়ে পড়েছিল যে, সারানোরও আর উপায় ছিল না।
এই আফগান কমান্ডারের ভাষায়, দুর্নীতি যে আফগান সরকার আর সেনাবাহিনীর রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়েছিল, তার ভুরি ভুরি প্রমাণ আছে, আর এটা পুরো আফগান জাতির জন্যই একটি ‘ট্র্যাজেডি’।
সাদাত লিখেছেন, ট্রাম্প-তালেবান শান্তি চুক্তির পর যুদ্ধে মার্কিন এবং পশ্চিমা বাহিনীর অংশগ্রহণ কমিয়ে ফেলা হয়েছিল। যুদ্ধের ময়দানে আফগান বাহিনীকে আকাশ থেকে সহায়তা দিত মার্কিন বিমান বাহিনী। সেই নিয়মও রাতারাতি বদলে ফেলা হয়েছিল। ততে তালেবান আরও শক্তিশালী হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। ফলে আজকের যে পরিণতি, তার সূচনা হয়েছিল তখন থেকেই।
“তারা (তালেবান) তখন থেকেই বিজয়ের আভাস পাচ্ছিল। তারা জানত, এখন শুধু অপেক্ষার পালা, আমেনিকানরা চলে গেলেই হল। সেই চুক্তির আগে আফগান বাহিনীর বিরুদ্ধে কোনো গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধে তারা জয়ী হতে পারেনি। আর চুক্তির পর? প্রতিদিন আমরা আমাদের বহু সঙ্গীকে হারাতে লাগলাম।”
তারপরও আফগান সৈন্যরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু এপ্রিলে বাইডেন বলে দিলেন, ট্রাম্পের নিয়মেই তিনি খেলবেন। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের দিনক্ষণও তিনি চূড়ান্ত করে দিলেন।
“আর ওই সময় থেকেই সবকিছু ধসে পড়তে শুরু করল,” লিখেছেন সাদাত।
বছরের পর বছর ধরে আফগান বোমারু বিমান, জঙ্গি বিমান আর পরিবহন বিমানগুলোর দেখভাল করে এসেছে আমেরিকান ঠিকাদাররা। সেই ১৭ হাজার সাপোর্ট কন্ট্রাক্টরের অধিকাংশই জুলাইয়ের মধ্যে বিদায় নিল। তার ফল হল এরকম- সামান্য কোনো যান্ত্রিক গোলযোগ হলেই আফগান বাহিনীর জঙ্গি বিমান, ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার আর সি-১৩০ পরিবহন বিমানগুলো মেরামতের অভাবে পড়ে থাকতে লাগল।
অনেক উইপন সিস্টেম আর সফটওয়্যারও সঙ্গে নিয়ে চলে গেল বিদেশি ঠিকাদাররা। হেলিকপ্টার মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম হল তার একটি। সামরিক যানবাহন, সরঞ্জাম আর সৈন্যদের অবস্থান জানার জন্য যে সফটওয়্যার আফগান বাহিনী এতদিন ব্যবহার করে আসছিল, সেই সফওয়্যার ব্যবহারের সুযোগ একদিন বন্ধ হয়ে গেল। শত্রুর অবস্থান সম্পর্কে তাৎক্ষণিক তথ্য পাওয়ার সুযোগও আর থাকল না।
আফগান বাহিনী যখন আকাশপথে আক্রমণ শানানোর বা লেজার গাইডেড অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষমতা হারালো, তালেবান তখন লড়াই করছে স্নাইপার আর ইম্প্রোভাইজড বিস্ফোরক ব্যবহার করে। হেলিকপ্টারের সহায়তা না পাওয়ায় আফগান ঘাঁটিগুলোতে যখন রসদ পাঠানো অনিয়মিত হয়ে গেল, যুদ্ধের জন্য তাদের পর্যাপ্ত হাতিয়ারেরও অভাব দেখা দিল। এরকম বহু ঘাঁটি দখল করে নিল তালেবান, আফগান সৈন্যরা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হল।
সাদাত লিখেছেন, বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা না করে বাইডেন মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের গতি যত বাড়িয়েছেন, পরিস্থিতি তত দ্রুত খারাপ হয়েছে।
আমেনিকান সেনা প্রত্যাহারের একটি সুনির্দিষ্ট সময়সীমা তালেবানরা পেয়ে গিয়েছিল প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ঘোষণায়। আর মাঝের সময়টায় আমেরিকান বাহিনীর তরফ থেকে কোনো আঘাত আসার ভয়ও তারা পাচ্ছিল না, কারণ তারা বুঝতে পারছিল, তেমন কোনো আগ্রহ আমেরিকানদের নেই।
“আর সে কারণেই তালেবান তাদের হামলা জোরদার করল। জুলাই আর অগাস্টের শুরুতে হেলমন্দে কোনো কোনো দিন আমি আর আমার সৈন্যরা তালেবানের সাত দফা গাড়িবোমা হামলা থেকেও বেঁচে গেছি। তারপরও আমরা অবস্থান ছাড়িনি।”
সাদাত বলেন, “শেষ দিনগুলোর লড়াই যেন ছিল পরাবাস্তব। নিচে তালেবান বাহিনীর সঙ্গে আমাদের প্রচণ্ড গোলাগুলি চলছে, আর মার্কিন ফাইটার জেটগুলো আকাশে শুধুই চক্কর দিচ্ছে, তারা ছিল শুধু দর্শকের ভূমিকায়।
“তারা যে আমাদের ত্যাগ করেছে, আর আমরা যে বিশ্বাসঘাতকতার শিকার, এই দুটো অনুভূতি প্রায় সমান হয়ে যাচ্ছিল তখন, যখন মার্কিন পাইলটরা হতাশা নিয়ে আমাদের বলছিল, মাঠের ওই যুদ্ধ শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতে তারা বাধ্য হচ্ছে, আমাদের সাহায্য করার সুযোগ তাদের নেই।”
তালেবানের গুলির স্রোতের মুখে লড়তে থাকা আফগান সেনারা যখন আকাশে মার্কিন বিমানের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলেন, কিন্তু কোনো সহায়তা তাদের তরফ থেকে আসছিল না, তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছিলেন। আর এর ফল হিসেবেই পুরো আফগানিস্তানে সেনাবাহিনী লড়াই করা বন্ধ করে দিয়েছিল বলে সাদাতের ভাষ্য।
তিনি লিখেছেন, “লস্কর গাতে আমরা ভয়াবহ লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে গেলাম, কিন্তু পুরো দেশ যখন হার মেনে নিচ্ছিল, লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য আর আমাদের থাকল না। পিছু হটে ঘাঁটিতে ফিরে আসতে আমরা বাধ্য হলাম। আমাকে যখন কাবুলে ডেকে পাঠানো হল, আমার বাহিনী তখনও লড়াই চালিয়ে গেছে। তারা সেই সেনাদলগুলোর একটি, যারা অস্ত্র নামিয়ে রেখেছে সবার শেষে, আর সেটা ঘটেছে রাজধানীর পতনের পর।”
“আমরা রাজনীতির শিকার, আমাদের প্রেসিডেন্টের বিশ্বাসঘাতকতার শিকার।”
যুক্তরাজ্যের ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষিত, কিংস কলেজ থেকে মাস্টার্স করা সাদাতের ভাষায়, আফগানিস্তানের এই যুদ্ধ কেবল আফগানদের একার লড়াই ছিল না। এটা ছিল আন্তর্জাতিক একটি বাহিনীর যুদ্ধ। অনেক দেশের সেনাবাহিনী এর সঙ্গে যুক্ত ছিল।
“সেই দায়িত্ব কেবল আমাদের একার পক্ষে বহন করা, লড়াই চালিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। এটা একটা সামরিক পরাজয় বটে, কিন্তু এর মূলে রয়েছে রাজনৈতিক ব্যর্থতা।”