সংক্রমণ বাড়ার মধ্যেও ‍উঠছে বিধিনিষেধ, প্রশ্নের মুখে মালয়েশিয়া সরকার

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঊধ্র্বমুখী থাকার মধ্যেই মহামারী মোকাবেলায় জারি থাকা বিধিনিষেধ বা জরুরি অবস্থা তুলে নিচ্ছে মালয়েশিয়া সরকার।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 July 2021, 12:18 PM
Updated : 28 July 2021, 12:18 PM

আগামী ১ অগাস্ট থেকে আর বাড়ছে না জরুরি অবস্থার মেয়াদ। এতে রাজনৈতিক অঙ্গনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। প্রশ্নের মুখে পড়েছে সরকার।

বিবিসি জানায়, মালয়েশিয়ায় এ পর্যন্ত ১০ লাখের বেশি মানুষের ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছে ৮ হাজার জন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরীক্ষার হার অনেক কম হওয়ায় প্রকৃত আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা আরও বেশি।

হাসপাতালগুলো রোগীতে উপচে পড়ছে। কয়েকটি ছবিতে দেখা গেছে, রোগীরা সিট না পেয়ে চেয়ারে বসে আছে। তারা অক্সিজেন সিলিন্ডার শেয়ার করে ব্যবহার করছে।

কোভিড মোকাবেলায় মালয়েশিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে। এর মেয়াদ শেষ হবে ১ অগাস্ট। তবে এরপর মেয়াদ আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে এক সপ্তাহ আগে।

বিরোধীদলীয় নেতারা এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বলেছেন, সরকার এ বিষয়ে তাদেরকে অবহিত করেনি। সরকারের এই পদক্ষপের ফলে জনগণের ওপর এর কি প্রভাব পড়বে তার ব্যাখ্যা দাবি করেছেন তারা।

ডেমোক্র্যাটিক অ্যাকশন পার্টির উপ-চেয়ারম্যান গোবিন্দ সিং দেও মঙ্গলবার পার্লামেন্ট অধিবেশনে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, “কেন আমাদেরকে এ সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানানো হয়নি? এই সিদ্ধান্ত কার?”

মালয়েশিয়ায় জারি থাকা জরুরি অবস্থার অধীনে কেউ বিধিনিষেধ ভঙ্গ করলে তাকে জারিমানার বিধান আছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্য অনেক দেশের মতোই ডেল্টা সংক্রমণে বিপর্যস্ত হচ্ছে মালয়েশিয়ায়।

মহামারীর সবচেয়ে ভয়াবহ ঢেউয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশটি। বর্তমানে সেখানে দৈনিক ১৪ হাজারের বেশি মানুষ কোভিড শনাক্ত হচ্ছে। কেবল মঙ্গলবারেই সরকারি হিসাবে মারা গেছে ২০৭ জন।

হাসপাতাল থেকে রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমনকী যাদের ভর্তি করা হচ্ছে, তারা যে শয্যা পাবেন এমন নিশ্চয়তা নেই। এ পরিস্থিতিতে সোমবার দেশটির কয়েক হাজার জুনিয়র চিকিৎসক হাসপাতাল থেকে ওয়াকআউট করেন। চাকরি স্থায়ীকরণ এবং অবস্থার উন্নয়নের দাবি জানান তারা।

অন্যদিকে, কোভিডে মারা যাওয়াদের অন্ত্যষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা কর্মীরা সাংবাদিকদের বলেছেন, লাশ দাফনের জন্য তাদের কাছে অসংখ্য অনুরোধ আসছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ মানুষ মারা গেছেন বাড়িতে।

বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ বলেছেন, দেশে জারি থাকা জরুরি অবস্থা পুরোপুরি সুপরিকল্পিত নয়। ফলে পরিস্থিতির উন্নতিতে তা সহায়ক হবে না।