মিয়ানমারের জান্তা নেতা মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
Published : 23 Apr 2021, 06:52 PM
মিয়ানমার সঙ্কট নিয়ে শনিবার জাকার্তায় দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে হ্লাইংয়ের। এর আগেই তার বিরুদ্ধে তদন্তের এই আহ্বান জানাল অ্যামনেস্টি।
তবে এ খবরের ব্যাপারে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করেনি।
অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ইন্দোনেশিয়া জাতিসংঘের নির্যাতনবিরোধী কনভেশনের সদস্যদেশ হওয়ায় তাদের ভূখন্ডে কোনও সন্দেভাজন অপরাধীর বিচার কিংবা তাকে হস্তান্তর করার আইনগত বাধ্যবাধকতা আছে।”
এবারের আসিয়ান সম্মেলন মিয়ানমার সঙ্কট সমাধানের প্রথম জোরাল পদক্ষেপ। ফ্রেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে নিরাপত্তা বাহিনী শত শত গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভকারীকে হত্যা করেছে।
এই প্রেক্ষাপটে এবারের সম্মেলনটি আসিয়ানের জন্য এক পরীক্ষাও। কারণ, এই জোট সাধারণত কোনও সদস্যদেশের অভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না এবং সর্বসম্মতির ভিত্তিতে কাজ করে।
এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের আঞ্চলিক উপপ্রধান পরিচালক এমারলিন গিল বলেন, “মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী যে সঙ্কট সৃষ্টি করেছে তাতে আসিয়ান ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পরীক্ষার মুখে পড়েছে।”
“সদস্যদেশগুলোর অভ্যন্তরীন বিষয়ে এই জোটের সচরাচর হস্তক্ষেপ না করার অঙ্গীকার আর কার্যকর রাখা যাচ্ছে না: কারণ, এটি কেবল মিয়ানমারের অভ্যন্তরীন বিষয় নয় বরং বড় ধরনের মানবাধিকারের বিষয় এবং এক মানবিক সঙ্কট, যার প্রভাব পড়ছে গোটা অঞ্চলসহ এর বাইরেও।”
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ৪৫ টি এনজিও’র সংগঠন বলেছে, আসিয়ান সম্মেলনে মিয়ানমার জান্তা প্রধান হ্লাইংকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে “দেশটির নিজ জনগণের বিরুদ্ধে সামরিক শাসকদের গণহত্যাকেই বৈধতা দেওয়া হচ্ছে।”
জাকার্তার সম্মেলনে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানে উৎখাত হওয়া আইনপ্রণেতাদেরকে অংশ নিতে দেওয়ার জন্যও আসিয়ানকে আহ্বান জানিয়েছে তারা।
স্যোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা একটি চিঠিতে এনজিওগুলো লিখেছে, “মিয়ানমারের জনগণের সঠিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা কিংবা সংলাপ ছাড়া দেশটির বর্তমান সমস্যা সমাধানে সম্মেলন থেকে আসিয়ান নেতারা কোনও কিছুই অর্জন করতে পারবেন না।”