মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থান ‘লক্ষ’ করার কথা জানিয়ে দেশটিতে স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছে চীন।
Published : 01 Feb 2021, 03:21 PM
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার বেইজিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৈনিক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন এমন আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, “মিয়ানমারে যা ঘটেছে তা লক্ষ করেছি আমরা আর পরিস্থিতি আরও বোঝার প্রক্রিয়াতে রয়েছি। চীন মিয়ানমারের এক বন্ধুসুলভ প্রতিবেশী। আমরা আশা করছি, মিয়ানমারের সব পক্ষ সংবিধান ও আইনি কাঠামোর অধীনে যথাযথভাবে তাদের পার্থক্যগুলো সামাল দিতে পারবে এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে।”
গত মাসে চীনের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং য়ি মিয়ানমার সফরে গিয়ে সামরিক বাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। এই জেনারেলই এখন দেশটির ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন।
ওয়াং য়ি-য়ের সফরের সময় মিয়ানমার সেখানে সামরিক অভ্যুত্থান হতে পারে বলে কোনো ইঙ্গিত দিয়েছিল কিনা বা চীন অভ্যুত্থানের নিন্দা জানাবে কিনা, এমন প্রশ্নে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়েনবিন আগে দেওয়া তার বিবৃতিটিরই পুনরুক্তি করেন বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, চীন দীর্ঘদিন ধরেই মিয়ানমারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে, আগের সামরিক একনায়কতন্ত্রের সময়ও দেশটির পাশে ছিল তারা, কিন্তু অং সান সু চি দেশটির নেত্রী হওয়ার পর তার সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে।
সোমবার ভোররাতের অভিযানে তার ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) দলের অন্যান্য নেতাদের পাশাপাশি নোবেল পুরস্কার জয়ী সু চিও আটক হয়েছেন।
দেশটির ভেতর দিয়ে নেওয়া বড় ধরনের তেল ও গ্যাস পাইপলাইনসহ মিয়ানমারে চীনের বেশকিছু কৌশলগত অর্থনৈতিক স্বার্থ আছে। এগুলোর মধ্যে বাস্তবায়নাধীন চীন-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর অন্যতম।
এই করিডোর পরিবহন ও অন্যান্য অবকাঠামো প্রকল্পের একটি নেটওয়ার্ক। এর কিছু অংশ ইতোমধ্যেই বিদ্যমান ও বাকিটা পরিকল্পনাধীন।
গত মাসের সফরের সময় ওয়াং য়ি এই অর্থনৈতিক করিডোরের জন্য মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সমর্থন চেয়েছিলেন।
নেটওয়ার্কটি মিয়ানমারের উত্তরপূর্বাঞ্চলে যে এলাকাগুলোর মধ্য দিয়ে গিয়েছে সেখানে স্থানীয় সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীগুলো পরস্পরের সঙ্গে এবং সরকারি বাহিনীগুলোর সঙ্গে লড়াই করছে। চলমান এ লড়াইয়ের কারণে অনেক শরণার্থী পালিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে চীনে আশ্রয়ও নিয়ে থাকে। সীমান্ত পেরিয়ে চীনে আশ্রয়ও নিয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: