পরিকল্পনা অনুযায়ী, ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সিয়াল ক্ষমতা কেড়ে নিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে আহ্বান জানিয়ে তোলা একটি প্রস্তাব নিয়ে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ভোট হবে।
এরপর প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা ক্যাপিটলে সহিংস হামলার ঘটনায় ট্রাম্পের ভূমিকার জন্য তার বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহে প্ররোচনা’ দেওয়ার অভিযোগ আনবেন।
এ বিষয়ক প্রথম ভোট সোমবারই হতে পারে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
গত বুধবার কংগ্রেস ভবনে ট্রাম্পের কট্টর সমর্থকরা হামলা চালান। এতে এক পুলিশসহ পাঁচ জন মারা যান। এ সহিংসতায় ট্রাম্প উসকানি দিয়েছেন বলে ডেমোক্র্যাটরা ও বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান অভিযোগ করেছেন।
পরিকল্পিত প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ রোববার আইনপ্রণেতাদের লিখিতভাবে জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাট পেলোসি। প্রস্তাবে আইনপ্রণেতাদের ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্সকে ২৫তম অ্যামেন্ডমেন্টের শরণ নিতে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানানোর কথা বলা হয়েছে, যা হোয়াইট হাউস থেকে ট্রাম্পকে সরিয়ে তাকে অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হওয়ার অনুমতি দেবে।
“আমাদের সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষায় আমাদের জরুরিভিত্তিতে কাজ করতে হবে, কারণ এই প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) উভয়ের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে,” বলেছেন পেলোসি।
নিজের চিঠিতে এগুলোকে প্রাথমিক পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। এতে কাজ না হলে প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাটরা ‘হাউসে অভিশংসন আইন আনার প্রক্রিয়া শুরু করবে’ বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিবিসি জানায়, কংগ্রেসম্যান ক্যালিফোর্নিয়ার টেড লিউ এবং রোড আইল্যান্ডের ডেভিড সিসিলাইন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাবের খসড়া প্রস্তুত করেছেন। ওই খসড়া প্রস্তাবে প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতাদের মধ্যে প্রায় ১৬০ জন সই করেছেন।
গত বুধবার ক্যাপিটলে দাঙ্গার সময় লিউ এবং সিসিলাইন দুইজনই সেখানে অবস্থান করছিলেন।
যদি ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব নিয়ে সত্যিই অগ্রসর হন তবে সেটা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথমবার কোনো প্রেসিডেন্টকে দ্বিতীয়বারের মত অভিশংসিত করার চেষ্টা হবে।
২০১৬ সালের নির্বাচনে জিততে বিদেশি সহায়তা চাওয়ার অভিযোগে ট্রাম্প এরই মধ্যে প্রতিনিধি পরিষদে একবার অভিশংসিত হয়েছেন; তবে তাকে তখন ক্ষমতা থেকে সরানো যায়নি। সেনেট তাকে ওই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল।
মেয়াদের মাত্র ৯ দিন অবশিষ্ট থাকা ট্রাম্পকে এবারও অভিশংসনের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে সরানোর চেষ্টা কতটা সফল হবে তা বলা মুশকিল।
আরও পড়ুন: