নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে.পি.শর্মা ওলির পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা পিটিশনের শুনানি শুরু হয়েছে।
Published : 06 Jan 2021, 08:23 PM
বুধবার থেকে এই শুনানি শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী ওলির নেওয়া ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কয়েকদিন ধরে গণবিক্ষোভও চলছে।
নেপালের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির অভ্যন্তরীন কোন্দলের জেরে গত ২০ ডিসেম্বর ওলি দেশটির রাষ্ট্রপতিকে বর্তমান পার্লামেন্ট বিলুপ্ত ঘোষণার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে আগাম নির্বাচন ঘোষণা করেন। ওলির এ সিদ্ধান্ত দেশটির সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
যার সূত্র ধরে দেশটির রাজনীতিবিদ, সমাজকর্মী এবং আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করে জানতে চেয়েছেন, একজন প্রধানমন্ত্রীর পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার আইনি অধিকার আছে কিনা।
২০২২ সালে নেপালের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা।
ওলির নিজ দল এবং বিরোধী দলগুলোর নেতাদের অভিযোগ, তিনি নেপালের স্থিতিশীল একটি সরকারের পতন ঘটাতে চাইছেন। যেখানে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে দেশটির অর্থনীতিতে মন্দাভাব দেখা দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ওলির সঙ্গে মতবিরোধের জেরে তার মন্ত্রিসভার সাতজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন।
বুধবার ওলির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পিটিশনের শুনানি শুরু হলে বিক্ষোভকারীরা সুপ্রিম কোর্টের কাছে জড় হয়ে ‘অসাংবিধানিক অভ্যুত্থান বাতিল করুন’ বলে স্লোগান দেয়।
আদালতের এক কর্মকর্তা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে প্রধান বিচারপতিও আছেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী ওলির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অন্তত ১৩টি পিটিশন নিয়ে শুনানি হয়।
পিটিশনকারীদের একজন দিনেশ ত্রিপাঠি বলেন, সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার সীমা বেঁধে দেওয়া আছে।“সংবিধানে ওলিকে তার ইচ্ছামত একটি পার্লামেন্টের অকাল মৃত্যু ঘোষণা করার ক্ষমতা দেওয়া হয়নি।”
আইনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় আসতে বেশ কয়েকদিন সময় লেগে যেতে পারে। ওদিকে ওলির এক সহযোগী বলেছেন, ‘‘আমরা আদালতে করা চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছি।”