যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন প্রথমে তাদের টিকা দেওয়া হচ্ছে বলে জানায় বিবিসি।
গত অগাস্টে বিশ্বের প্রথম দেশে হিসেবে রাশিয়া তাদের কোভিড-১৯ টিকা সর্বসাধারণের জন্য ব্যবহারের অনুমতি দেয়।
স্পুৎনিক-ভি র আবিষ্কাকরদের দাবি, এই টিকা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মানবদেহে অ্যান্টিবডি তৈরিতে ৯৫ শতাংশ কার্যকর এবং গুরুতর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। যদিও বৃহৎ আকারে এই টিকার পরীক্ষা এখনো চলছে।
রাশিয়ার হাজারো মানুষ এরই মধ্যে টিকা নেওয়ার জন্য নাম নিবন্ধন করেছেন বলে জানায় বিবিসি। কিন্তু রাশিয়া টিকার কী পরিমাণ ডোজ উৎপাদন করতে পেরেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলেও জানায় বিবিসি।
টিকা উৎপাদকরা এর আগে বলেছিলেন, এ বছরের শেষ নাগাদ তারা ৪০ লাখ ডোজ টিকা উৎপাদন করতে সক্ষম হবেন বল আশা করছেন।
কয়েকদিন আগে মস্কোর মেয়র সার্গেই সোবিয়ানিন কোভিড-১৯ টিকা প্রদাণ প্রকল্প শুরুর ঘোষণা দেন। তখন তিনি বলেছিলেন, প্রথমে স্কুল, স্বাস্থ্য সেবাকর্মী ও সমাজকর্মীদের টিকা দেওয়া হয়ে।
যত বেশি ডোজ টিকা প্রস্তুত হবে এই তালিকাও তত লম্বা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মস্কোর ৭০টি জায়গায় কোভিড-১৯ এর টিকা দেওয়া হচ্ছে। উপরের পেশায় যারা আছেন এবং বয়স ১৮-৬০ বছরের মধ্যে তারা অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য অনলাইনে বিনা খরচে নাম নিবন্ধন করতে পারবেন। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ সেবা চালু আছে।
রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত ২৩ লাখ ৮২ হাজারের বেশি মানুষের কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৪১ হাজার ৭৩০ জন।
রাশিয়ার মধ্যে মস্কোতেই সংক্রমণ ও মৃত্যু সব থেকে বেশি।