কোভিড-১৯:  রাশিয়ার টিকার নামে স্নায়ুযুদ্ধের স্মৃতি

স্নায়ুযুদ্ধ যুগে মহাকাশের লড়াইয়ে স্পুৎনিক-১ পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে টেক্কা দেওয়ার স্মৃতি ফিরিয়ে রাশিয়া এবার করোনাভাইরাসের টিকার লড়াইয়েও প্রতীক করল সেই স্পুৎনিককে। এই নামেই দেওয়া হল টিকার নাম।

>>রয়টার্স
Published : 11 August 2020, 07:00 PM
Updated : 12 August 2020, 02:07 PM

স্নায়ুযুদ্ধকালের সোভিয়েত যুগকে যেন ভুলতে পারছে না রাশিয়া। সে সময় সোভিয়েত রাশিয়ার সঙ্গে আমেরিকার লড়াইটা ছিল মহাকাশ নিয়ে। আর এবারের লড়াইটা করোনাভাইরাসের টিকা উদ্ভাবন নিয়ে।

১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর বিশ্বে মহাকাশে প্রথম পাড়ি দিয়েছিল সোভিয়েত কৃত্রিম উপগ্রহ ‘স্পুৎনিক-১’। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসা’কে টেক্কা দেওয়ার সাফল্যে উদ্বেলিত হয়েছিল মস্কো।

এবার টিকার লড়াইয়েও বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়া কোভিড-১৯ টিকার অনুমোদন দিয়েছে বলে ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

টিকার এ অনুমোদনকে স্পুৎনিকের ওই সাফল্যের সঙ্গে এক করেই দেখছে রাশিয়া। টিকাটিকে বিজ্ঞানে রাশিয়ার শক্তির প্রমাণ হিসেবে চিত্রিত করেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।

যদিও মানুষের ওপর দুই মাসেরও কম সময় পরীক্ষা চালানোর পর চূড়ান্ত পরীক্ষার আগেই অনুমোদন পেয়েছে এ রুশ টিকা।

তবে মঙ্গলবার রুশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেওয়ার পর টিকাটির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর পথে আর কোনও বাধা নেই। বিশ্ব বাজারে এ টিকা এখন পরিচিতি পাবে বিশ্বের প্রথম সেই স্যাটেলাইটের নামে স্পুৎনিক ভ্যাকসিন হিসাবে।

রাশিয়ান ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের প্রধান কিরিল ডিমিত্রিয়েভ বলেছেন, এরই মধ্যে বিশ্বের ২০টির বেশি দেশ থেকে ১০০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহের অনুরোধ পেয়েছেন তারা।

তবে তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত পরীক্ষার আগেই রাশিয়া তাড়াহুড়ো করে এই টিকা অনুমোদন দেওয়ায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশ্ন উঠেছে। সত্যিকারের বিজ্ঞান এবং নিরাপত্তার দিকটির চেয়ে মস্কো জাতীয় মান-মর্যাদাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে কিনা- সেটিই প্রশ্ন বিজ্ঞানীদের।