অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া রাজ্যের উপকূলে আটকা পড়া প্রায় ৪৭০টি পাইলট তিমির মধ্যে জীবিত উদ্ধার করা ১০৮টিকে ফের সাগরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে দেশটির সমুদ্র বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
Published : 26 Sep 2020, 07:21 PM
তাসমানিয়ার পশ্চিম উপকূলের ম্যাককুয়েরি হারবার এলাকায় এখন আর কোনো জীবিত তিমি নেই বলে মনে করছেন তারা, জানিয়েছে বিবিসি।
অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ডে উপকূলে সবচেয়ে বেশি তিমি আটকা পড়ার এ ঘটনায় প্রায় ৩৬৫টি তিমি মারা গেছে।
এখন কর্তৃপক্ষ তিমিগুলোর মৃতদেহের ব্যবস্থা করার দিকে মনোযোগ দিয়েছে। শুক্রবার পরীক্ষামূলকভাবে ১৫টিকে সাগরে সমাহিত করেন দেশটির বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা। শনিবার তারা বাকি কয়েকশ মৃতদেহের ব্যবস্থা করার কাজ শুরু করেছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
এদিন এক বিবৃতিতে তাসমানিয়া রাজ্য সরকার জানিয়েছে, আটকা পড়া অবস্থা থেকে জীবিত উদ্ধার করা ১০৮টি লম্বা-পাখনা পাইলট তিমিকে ম্যাককুয়েরি হারবারের হেডস এলাকার বাইরে সাগরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার আকাশপথে নজরদারি চালানোর সময় প্রত্যন্ত ম্যাককুয়েরি হেডস এলাকার সৈকতে পাওয়া গিয়েছিল ২৭০ টি পাইলট তিমি। এর মধ্যে মারা যায় অন্তত ৯০ টি। আরও বেশ কিছু তিমি মুমূর্ষু অবস্থায় ছিল। তিমি উদ্ধার অভিযান শুরুর পর আটকা পড়া আরও ২শ’তিমির সন্ধান মেলে।
পাঁচ দিন ধরে কঠিন ও বিপজ্জনক উদ্ধার অভিযানের পর ১০৮টি তিমিকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বাকি তিমিগুলোর মৃত্যু হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়েছে।
ইনসিডেন্ট কন্ট্রোলার ও পার্কস এন্ড ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিস ম্যানেজার রব বাক জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে ১৫টি তিমিকে সাগরে সমাহিত করা হয়েছে, কিন্তু বাকি ৩৫০টির মতো মৃতদেহের ব্যবস্থা করতে অন্তত কয়েকদিন লেগে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিমিদের মৃতদেহগুলো পৃথক দলে ভাগ করে ওয়াটার বুমের ঘেরাওয়ের মধ্যে এক জায়গায় রেখে দেওয়া হয়েছে যেন হাঙ্গর ও অন্যান্য শিকারি প্রাণী সেগুলোর নাগাল না পায়।
যেসব তিমিকে মুক্ত করা গেছে, গভীর জলের সামাজিক ওই স্তন্যপায়ীগুলো ফের ‘দলবদ্ধ’ হয়ে এই বিপর্যয়কর ঘটনাটির ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে মনে করছেন বন্যপ্রাণী কর্মকর্তারা।