বেলারুশে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দাবি আদায়ে দেশজুড়ে বিভিন্ন কারখানায় ধর্মঘট অব্যাহত রাখতে ও ধর্মঘটের আওতা বাড়াতে সমর্থকদের আহ্বান জানিয়েছেন সরকারবিরোধী রাজনীতিক সভেৎলনা তিখানভস্কায়া।
Published : 21 Aug 2020, 04:02 PM
শুক্রবার লিথুনিয়া থেকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ আহ্বান জানান বলে এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
“ধর্মঘট চালিয়ে যেতে ও বিস্তৃত করতে অনুরোধ করছি আমি। হুমকিতে বোকা হওয়া যাবে না,” বলেছেন তিনি।
৯ অগাস্ট পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার পর থেকেই দেশটিতে ব্যাপক অস্থিরতা শুরু হয়। সেদিনের নির্বাচনে ১৯৯৪ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোকে পুনঃনির্বাচিত ঘোষণা করে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
তাদের দেওয়া ফল অনুযায়ী, লুকাশেঙ্কো ৮০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে সভেৎলনার বাক্সে দেখানো হয়েছে মাত্র ১০ শতাংশ ভোট।
বিরোধীরা তাৎক্ষণিকভাবে ভোটের এ ফল প্রত্যাখ্যান করে এবং ‘জালিয়াতির নির্বাচন’ বাতিল করে নতুন নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে।
টানা কয়েকদিন ধরে চলা বিক্ষোভ ও ধর্মঘট ঘিরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষও হয়েছে।
ভোটের ফল ঘোষণার পর সভেৎলনা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাতে গেলে তাকে প্রায় ৭ ঘণ্টা আটকে রাখা হয় বলে বিবিসি জানিয়েছে। হয়রানির ভয়ে পরে তিনি বেলারুশ থেকে পালিয়ে প্রতিবেশী দেশ লিথুনিয়ায় আশ্রয় নেন।
লিথুনিয়া, পোল্যান্ড ও লাটভিয়া এরই মধ্যে বেলারুশের সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে।
রয়টার্স বলছে, বিরোধীরা এবং দেশজুড়ে বিক্ষোভ ও ধর্মঘটে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীরা নতুন নির্বাচন চাইলেও লুকাশেঙ্কো ফের ভোট অনুষ্ঠানে রাজি নন।
তাকে নির্বাচন দিতে বাধ্য করতেই সভেৎলনা শুক্রবার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে পাঠানো ভিডিওবার্তায় ধর্মঘট ও বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
বেলারুশের নির্বাচন ‘অবাধ ও স্বচ্ছ’ হয়নি অভিযোগ তুলে ইউরোপীয় ইউনিয়নও দেশটির কর্মকর্তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ইঙ্গিত দিয়েছে।