হংকংয়ে ‘এক চীন’ নীতি মানার চাপে তাইওয়ানি কর্মকর্তারা

হংকংয়ে ভিসা নবায়নের জন্য ‘এক চীন’ নীতি মেনে নেওয়ার চাপের মুখে পড়েছেন তাইওয়ানের কর্মকর্তারা।

কাজের ভিসা নবায়ন করতে গেলে তাদেরকে ‘এক চীন’ নীতির আওতায় তাইওয়ানকে রাখার চীনা দাবির সমর্থনে একটি নথিতে সই করতে হবে বলে শর্ত দিয়েছে হংকং সরকার।

তা না হলে ‘কর্মকর্তাদের ভিসা নবায়ন করা হবে না’ বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে জানেন এমন এক উর্ধ্বতন তাইওয়ানি কর্মকর্তা রয়টারসকে একথা বলেছেন।

হংকংয়ে তাইওয়ানের ডি ফ্যাক্টো কনস্যুলেটের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা যাদের ভিসা নবায়ন করার কথা রয়েছে- তাদেরকে সরকার ওই নথি সই করতে বলেছে বলে জানিয়েছেন ওই উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

তাইওয়ান সম্প্রতি হংকংয়ে চীনের নতুন নিরাপত্তা আইন চাপানোর তীব্র সমালোচনা করেছে এবং হংকং ছাড়তে চাওয়া মানুষদের সহায়তায় রাজধানী তাইপেতে একটি কার্যালয়ও খুলেছে। এরপরই তাইওয়ানের কর্মকর্তারা হংকংয়ে এই চাপের মুখে পড়লেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই তাইওয়ানি কর্মকর্তা বলেছেন, হংকংয়ের এমন পদক্ষেপ নজিরবিহীন। তাইপে-হংকং সম্পর্কে এটি ‘অযথাই একটি রাজনৈতিক বাধা’ সৃষ্টি করেছে।

‘‘আমরা ডকুমেন্ট সই না করলে তারা ভিসা দেবে ‍না। এ সমস্যা পুরোপুরিভাবে তারাই তৈরি করেছে। আমরা আমাদের পথে অনড় থাকার সর্বাত্মক চেষ্টা করব।”

রয়টার্সের পক্ষ থেকে হংকং ইমিগ্রেশন বিভাগে যোগাযোগ করা হলে তারা এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কথা বলতে রাজি হয়নি।

হংকংয়ে তাইওয়ানের ডি ফ্যাক্টো কনস্যুলেটে ১৫ জন স্টাফ রয়েছেন। চীন সবসময় তাইওয়ানকে নিজেদের  ‘এক চীন’ নীতির অংশ হিসাবেই দেখে। বল প্রয়োগ করে হলেও তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি চীন কখনওই ছাড়েনি।

চীন এর আগে তাইওয়ানকে ‘এক দেশ দুই ব্যবস্থা’ মেনে নেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে। হংকংয়ে যেমনটি আছে। কিন্তু তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন চীনের ওই নীতি ‘ব্যর্থ’ অ্যখ্যা দিয়ে তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।