নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইন কার্যকরের দুই সপ্তাহের মধ্যে চীন নিয়ন্ত্রিত হংকং থেকে তাদের কার্যালয়ের একাংশ সিউলে সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
Published : 15 Jul 2020, 04:01 PM
আগামী বছরের মধ্যে তাদের ডিজিটাল দলের সংবাদকর্মীদের দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানীতে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
তাদের প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের হংকংয়ে কাজ করার অনুমতি পেতে প্রতিবন্ধকতার শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের ডিজিটাল দলের সদস্য সংখ্যা হংকংয়ে তাদের মোট কর্মীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের এ পদক্ষেপকে এশিয়ায় ‘সাংবাদিকতার হাব’ খ্যাত হংকংয়ের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবেই দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন নিজেদের দেশে অন্য দেশের সাংবাদিকদের কাজের ক্ষেত্র যখন সংকুচিত করে আনছে, এমন এক সময়েই তাদের এ সিদ্ধান্ত এল ।
চলতি বছরের শুরুতে বেইজিং জানিয়েছিল, যেসব সাংবাদিক চীনের মূল ভূখণ্ডে কাজ করার অনুমতি পাবেন না, তাদেরকে হংকংয়েও কাজ করতে দেয়া হবে না।
“চলমান অনিশ্চয়তার কারণে আমরা আমাদের সম্পাদনা কর্মীদের অন্যান্য জায়গায় স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনা করছি। তারপরও হংকংয়ে আমাদের বড় ধরনের উপস্থিতিই থাকছে। হংকং এবং চীনের মূল ভূখণ্ডের কভারেজ অব্যাহত রাখার সব ধরনের উদ্দেশ্য ও আগ্রহও আমাদের আছে,” রয়টার্সকে এমনটাই বলেছেন নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক মুখপাত্র।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস ও এজেন্সি ফ্রান্স প্রেসের (এএফপি) মতো সংবাদমাধ্যমগুলোর এশিয়ার প্রধান কার্যালয় হংকংয়ে অবস্থিত।
রয়টার্স অবশ্য তাদের এশিয়ার প্রধান কার্যালয়টি ১৯৯৭ সালেই হংকং থেকে সরিয়ে সিঙ্গাপুরে নিয়ে গিয়েছিল; যুক্তরাজ্য ওই বছরই হংকংকে চীনের কাছে হস্তান্তর করেছিল।