যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে জারি করা লকডাউন তোলার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ‘পুরো’ কর্তৃত্ব আছে বলে দাবি করেছেন ডনাল্ড ট্রাম্প।
Published : 14 Apr 2020, 11:33 AM
তার এ মত যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলোর গর্ভনর ও আইন বিশেষজ্ঞদের মতের বিপরীত বলে জানিয়েছে বিবিসি।
সোমবার হোয়াইট হাউসে দৈনিক করোনাভাইরাস ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনীতি পুনরায় শুরু করতে একটি পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছে তার প্রশাসন।
‘পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের হাতে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমরা অঙ্গরাজ্যগুলোর সঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছি।”
করোনাভাইরাস মহামারীর বিস্তার রুখতে নেওয়া লকডাউন পদক্ষেপের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উদ্যোগ প্রায় থেমে আছে। ১ মে থেকে এই বিধিনিষেধ শিথিল করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
জনগণকে রেস্তোরাঁগুলোতে না যেতে ও খুব দরকার ছাড়া ভ্রমণ না করতে এবং ১০ জনের বেশি একত্রে সমবেত না হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে হোয়াইট হাউস; ৩০ এপ্রিল যার মেয়াদ ফুরানোর কথা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে জারি থাকা ঘরবন্দি নির্দেশনা প্রতিটি অঙ্গরাজ্য নিজ নিজ কর্তৃত্বে জারি করেছিল। অঙ্গরাজ্যগুলোর ওই নির্দেশনা অগ্রাহ্য করার কর্তৃত্ব তার আছে কিনা, ব্রিফিংয়ে উপস্থিত সাংবাদিকরা তা নিয়ে প্রশ্ন করলে ক্ষেপে যান ট্রাম্প; তিনি বলেন, “যখন কেউ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, পুরো কর্তৃত্ব তার। সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব তার। গভর্নরাও তা জানে।”
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় সনদের ‘অসংখ্য বিধান’ তাকে এ ক্ষমতা দিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি, তবে কোন কোন বিধান তা নির্দিষ্ট করে বলেননি তিনি।
বিবিসি লিখেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে জনগণের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার অধিকার অঙ্গরাজ্যগুলোকে দেওয়া হয়েছে।
আইন বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, অঙ্গরাজ্যগুলোতে অথবা স্থানীয়ভাবে জারি করা কোনো জনস্বাস্থ্য বিধি বাতিল করার কর্তৃত্ব যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের নেই।
এদিকে গভর্নররা জানিয়েছেন, করোনভাইরাস কেন্দ্রিক বিধিনিষেধগুলো কখন উঠবে তা নির্ধারণ করার ক্ষমতা শুধু তাদের আছে এবং এটি তাদের বিশেষ ক্ষমতা।
তবে যু্ক্তরাষ্ট্রের পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলীয় ১০টি অঙ্গরাজ্য কঠোর ঘরবন্দি নির্দেশনা তুলে নেয়ার পরিকল্পনা করছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর বৈশ্বিক কেন্দ্র হয়ে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রে মঙ্গলবার সকাল নাগাদ আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লাখ ৮২ হাজার ৫৮০ ও মৃতের সংখ্যা ২৩ হাজার ৬২২ বলে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া পরিসংখ্যানে দেখা গেছে।