লন্ডন ব্রিজে কয়েকজনের ওপর ছুরি হামলার পর একজনকে গুলি করে হত্যা করেছে ব্রিটিশ পুলিশ।
Published : 29 Nov 2019, 07:53 PM
স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুরে সংঘটিত এই হামলাকে ‘সন্ত্রাসী’ তৎপরতা ঘোষণা করেছে লন্ডন পুলিশ।
লন্ডনে এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নেদারল্যান্ডসের রাজধানী হেগের প্রধান মার্কেট স্কয়ারের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ছুরিকাঘাতে অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। এই হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে কোনো ধারণা দিতে পারেনি পুলিশ।
ঘটনাস্থলে নিহত লন্ডনের হামলাকারী একটি ভুয়া বিস্ফোরকের ডিভাইস পরেছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ক্রেসিডা ডিক বলেন, লন্ডন ব্রিজে ছুরি হামলায় দুজন নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছে। এছাড়া সন্দেভাজনও পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের কাউন্টার-টেরোরিজম পুলিশের প্রধান নেইল বসু বলেন, ঘটনা সম্পর্কে এখনও সব বিষয় স্পষ্ট নয়। কে বা কারা কেন এই হামলা চালিয়েছে, তা খুঁজে বের করতে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দুপুর ২টার ঠিক আগে আগে ব্রিজের কাছে ছুরি হামলার কথা পুলিশকে জানানো হয় বলে জানান তিনি।
স্যোশাল মিডিয়ায় আসা ফুটেজে মাটিতে শুয়ে থাকা ব্যক্তিকেই পুলিশকে গুলি করতে দেখা গেছে। স্যুট ও জ্যাকেট পরা আরেকজনকে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করে দৌড়ে পালাতে দেখা যায়।
ঘটনার সময় লন্ডন ব্রিজে একটি বাসে থাকা একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “হঠাৎই বাস থেমে গেল। হট্টগোল হচ্ছিল। আমি জানালা দিয়ে তাকালাম। দেখলাম তিন পুলিশ কর্মকর্তা এক ব্যক্তির দিকে ছুটে যাচ্ছেন।
“ওই ব্যক্তির হাতে কিছু একটা ছিল বলে মনে হল, আমি শতভাগ নিশ্চিত কিছু ছিল। কিন্তু তারপর এক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে গুলি করেন।”
এর আগে ২০১৭ সালের জুনে তিন জঙ্গি লন্ডন ব্রিজে ভিড়ের মধ্যে ভ্যান চালিয়ে দিয়ে এবং ছুরি মেরে আটজনকে হত্যা করে।
শুক্রবারের ঘটনায় হামলাকারীকে রুখে দেওয়া সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনসহ অনেকে।
লন্ডন পুলিশ কমিশনার ক্রেসিডা ডিক বলেছেন, তারা ‘দারুণ সাহস’ দেখিয়েছেন।
সন্ত্রাসীকে রুখে দেওয়ায় তাদের ‘বীর’ অভিহিত করেছেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খান।
কনজারভেটিভ ও লেবার পার্টি হামলার কারণে রাতের নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রম বাতিল করেছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত নভেম্বরে যুক্তরাজ্য সন্ত্রাসী হামলার হুমকির মাত্রা কমানোর পর এই হামলার ঘটনা ঘটল।
প্রতি ছয় মাস অন্তর সন্ত্রাসী হামলার হুমকির মাত্রা পর্যালোচনা করে জয়েন্ট টেররিজম অ্যানালাইসিস সেন্টার।
London bridge shooting #London #LondonBridge pic.twitter.com/mFRHyhopZA
— London Crime LDN (@CrimeLdn) November 29, 2019