হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে।
Published : 21 Sep 2019, 08:28 PM
শনিবার এগিয়ে আসা পুলিশের একটি লাইনের দিকে বিক্ষোভকারীরা দুটি পেট্রল বোমা নিক্ষেপের পর তাদের লক্ষ্য করে প্রথম এক পশলা কাঁদুনে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এদিন নিউ টেরোটরিজের পশ্চিমে তুয়েন মুন শহরে বিক্ষোভাকারীরা সমবেত হয়। তারা কাঠের ও ধাতুর বেড়া ভেঙে এবং রাস্তার দিকনির্দেশনা খুঁটি তুলে সড়কে প্রতিবন্ধক বসানোর চেষ্টা করে। কয়েকজন চীনের একটি পতাকায় আগুন ধরিয়ে দেয়।
কিছু বিক্ষোভকারী লাইট রেল ট্রানজিট স্টেশনে ভাংচুর চালায়, তারা রেল লাইনের পাশ থেকে ইট ও পাথর কুড়িয়ে নিয়ে পুলিশের দিকে নিক্ষেপ করে। অন্যরা অগ্নি নির্বাপক খুলে পুলিশের দিকে তাগ করে গ্যাস ছেড়ে দেয়। এ সময় পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে।
এক বিবৃতিতে পুলিশ বলেছে, “উগ্র প্রতিবাদকারীরা তুয়েন মুনের লাইট রেল টাউন সেন্টার স্টেশনের বিভিন্ন স্থাপনার ক্ষতিসাধন করেছে, লাইট রেলের লাইনে বিভিন্ন বস্তু ছুড়ে ফেলেছে এবং আশপাশের রাস্তায় প্রতিবন্ধক বসিয়েছে। এতে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে।
“উগ্র প্রতিবাদকারীরা পেট্রল বোমাও ছুড়েছে, এতে পুলিশ কর্মকর্তা ও অন্যান্যদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুতর হুমকি সৃষ্টি হয়।”
এখানে পুলিশের কাঁদুনে গ্যাসের মুখে বিক্ষোভাকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে ওই এলাকার একটি মহাসড়কে ছড়িয়ে পড়ে ও অল্প সময়ের জন্য ফের একত্রিত হয়। অন্যান্যরা আশপাশের বিপণীবিতান ও গলিগুলোতে ঢুকে পড়ে।
এর আগে কয়েক ডজন বেইজিংপন্থি গণতন্ত্রের আহ্বান জানিয়ে লাগানো ছোট ছোট রংবেরংয়ের নোটের বিশাল কয়েকটি মোজাইক ছিড়ে ফেলে।
পার্লামেন্টে প্রস্তাবিত একটি বহিঃসমর্পণ বিলকে কেন্দ্র করে হংকংয়ে অস্থিরতা শুরু হয়েছিল। ওই বিলে বিচারের জন্য হংকংবাসীদের চীনের মূলভূখণ্ডে পাঠানোর সুযোগ রাখা হয়েছিল। এতে তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন হংকংয়ের সমালোচকরা।
প্রস্তাবিত এই বিলের প্রতিবাদেই জুনে হংকংজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রতিবাদের মুখে বিলটি স্থগিত করা হলেও প্রতিবাদ অব্যাহত থাকে। পরে চলতি মাসের প্রথমদিকে বিলটি পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়।
কিন্তু এতেও প্রতিবাদকারীদের ক্ষোভ কমেনি। পূর্ণ গণতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে তারা। পাশাপাশি পুলিশের নিষ্ঠুরতা ও অন্যান্য অভিযোগেরও তদন্ত দাবি করছে।
তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা সরকারবিরোধী এ প্রতিবাদ বিক্ষোভে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক কেন্দ্র হংকং।