ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মূল চালিকা শক্তি আরএসএস হিন্দু প্রভূত্ববাদে বিশ্বাসী একটি হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল ও স্বেচ্ছা-সেবক সংগঠন।
পাকিস্তানের ‘দ্য ডন’ পত্রিকা জানায়, রোববার একের পর এক টুইটে ইমরান খান বলেছেন, “ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে কারফিউ জারি করা, দমননীতি এবং কাশ্মীরিদের উপর অচিরেই যে গণহত্যা ঘটবে-- সবকিছুই নাৎসি ভাবাদর্শে অনুপ্রাণিত আরএসএস এর আদর্শ অনুযায়ীই হচ্ছে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।”
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে (আরএসএস) হিটলারের নাৎসী আধিপত্যবাদ এবং বিশ্বাসেরই ‘হিন্দু প্রভুত্ববাদী’ সংস্করণ আখ্যা দেন তিনি।
টুইট বার্তায় আশঙ্কা প্রকাশ করে ইমরান লেখেন, “যেভাবে ভারতে হিন্দুত্ববাদ মাথাচাড়া দিচ্ছে তাতে ন্যাৎসিবাদ কাশ্মীরেই আটকে থাকবে না। এটি গোটা ভারতের মুসলিমদের ওপর ছড়িয়ে পড়বে এবং শেষমেষ এর লক্ষ্য হয়ে দাঁড়াবে পাকিস্তানও।”
ইমরান বলেন, “ভারত সরকার কাশ্মীরের জনজাতিকে সমূলে উপড়ে ফেলে গোটা উপত্যকার জনমানচিত্র বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। প্রশ্ন হচ্ছে, গোটা বিশ্ব কি এখনো চুপ করে দেখবে, ঠিক যেভাবে জার্মানিতে হিটলারকে চুপ করে দেখেছিল তারা?”
ভারত সরকার কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পরই মোদী সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান। এ সিদ্ধান্তকে ‘বেআইনি’ ও একতরফা’বলেছিলেন তিনি। এদিনও তীব্র ভাষায় মোদী সরকারকে আক্রমণ করলেন ইমরান।
গত সপ্তাহে ভারতের পার্লামেন্টে নরেন্দ্র মোদীর সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদে থাকা বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে এলাকাটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে।
এ সিদ্ধান্ত আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় প্রভাব ফেলতে পারে বলে তখনই প্রতিবেশী দেশগুলো সতর্ক করেছিল। পাকিস্তান কাশ্মীর সিদ্ধান্তের জেরে ইসলামাবাদ থেকে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে বহিস্কার, নয়া দিল্লির সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কচ্ছেদসহ বেশকিছু পদক্ষেপও নিয়েছে।