কাশ্মীরে শিগগিরই নির্বাচন হবে: মোদী

জম্মু-কাশ্মীর খুব বেশিদিন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থাকবে না বলে কাশ্মীরবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কাশ্মীরে শিগগিরই স্থানীয় বিধানসভার জন্য নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

>>রয়টার্স
Published : 8 August 2019, 06:20 PM
Updated : 8 August 2019, 06:20 PM

বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে মোদী বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরের জনগণই তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। সেখানে আগের মত মুখ্যমন্ত্রীও থাকবে। ওই অঞ্চলে একবার শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে এলেই জম্মু-কাশ্মীর আবারো পুরোদস্তুর রাজ্য হয়ে যাবে।”

গত সোমবারই ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নিয়েছে ভারত সরকার। পরিকল্পনা করেছে রাজ্যটিকে ভাগ করে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ- দু’টো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার।

এরপরই প্রথম ভাষণে সরকারের এ সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা জাতিকে দিলেন মোদী। ৩৭০ ধারা থাকায় এত দিন জম্মু-কাশ্মীরের কী ক্ষতি হয়েছে, এখন এর বিলুপ্তিতে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ায় রাজ্যবাসীর কী লাভ হবে— সে সব প্রতিশ্রুতিরই সম্ভার মোদী তুলে ধরেছেন জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখবাসীর সামনে। বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, অন্ধকার যুগ থেকে আলোর পথে যাচ্ছে কাশ্মীর উপত্যকা।

মোদী বলেছেন, ৩৭০ ধারার কারণে জম্মু-কাশ্মীর শুধু সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ, পরিবারবাদ এবং দুর্নীতি পেয়েছে। এখন জম্মু-কাশ্মীর এর নেতিবাচক প্রভাব থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে এ ব্যাপারে তিনি আস্থাশীল।

মোদী জানান, জনকল্যাণে ভারতের সংসদে প্রণীত আইনগুলো এতদিন কার্যকরী হত না কাশ্মীরে। কেন্দ্রের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলোর সুবিধা তারা পেত না। এমনকি, চাকরিতে সংরক্ষণ, তথ্য জানার অধিকারের মতো আইনও কাশ্মীরে কার্যকর ছিল না। সে বাধাগুলো এখন আর থাকবে না। কেন্দ্রের অধীনে থাকলে জম্মু-কাশ্মীরে পরিকাঠামো, যোগাযোগ, ব্যবসা, পর্যটন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য  সবক্ষেত্রেই  উন্নয়ন গতি পাবে।

লাদাখেও এ সব কল্যাণমূলক কাজ হবে এবং লাদাখ দেশের সবচেয়ে বড় ও আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারেন বলেও জানান মোদী। বিশেষ করে সেখানকার ভেষজ সম্পদ বিশ্বের কাছে তুলে ধরার কথা বলেন তিনি। সেইসঙ্গে বলেন, সৌরশক্তি উৎপাদনেও নতুন পথ দেখাতে পারে লাদাখ।

দেশবাসীর সঙ্গে কাশ্মীরবাসীকে একাত্ম করতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আপনারা কখনোই মনে করবেন না আমরা আলাদা। আপনাদের সুখ-দুঃখ আমাদেরও সুখ-দুঃখ।আসুন সবাই মিলে সন্ত্রাসমুক্ত, বিচ্ছিন্নতাবাদমুক্ত এমন এক শান্তির উদ্যান করে কাশ্মীরকে গড়ি যাতে তা সারা বিশ্বের জন্য নজির হয়।’’