লিবিয়ায় একটি অভিবাসী আটক কেন্দ্রে বিমান হামলায় অন্তত ৪৪ জন নিহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
Published : 03 Jul 2019, 10:02 AM
বুধবার ভোররাতে রাজধানী ত্রিপোলির তাজৌরা এলাকায় চালানো এ হামলায় আরও ৮০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
নিহতদের অধিকাংশ আফ্রিকান অভিবাসন প্রত্যাশী বলে জানা গেছে।
লিবিয়ার জরুরি বিভাগগুলোর মুখপাত্র ওসামা আলী জানিয়েছেন, অভিবাসী আটক কেন্দ্রটিতে ১২০ জন অভিবাসন প্রত্যাশী ছিল, বিমান হামলায় এটি সরাসরি আক্রান্ত হয়েছে।
নিহতের এ সংখ্যা প্রাথমিকভাবে গণনা করা এবং এটি আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ হামলার জন্য সাবেক জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন স্বঘোষিত লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মিকে (এলএনএ) দায়ী করেছে লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত জাতীয় ঐক্যমতের সরকার (জিএনএ) ।
বিমান হামলাটি যেখানে হয়েছে সেই তাজৌরা এলাকায় জিএনএ-র অনুগত বাহিনীগুলোর সঙ্গে এলএনএ-র লড়াই চলছে।
জিএনএ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘ব্যাপক বিমান হামলার’ শরণ নেওয়া হবে বলে এলএনএ সোমবার ঘোষণা করেছিল। কিন্তু এলএনএ-র এক মুখপাত্র অভিবাসী কেন্দ্রে তাদের হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ইউরোপে যাওয়ার প্রধান রুটে পরিণত হয়েছে লিবিয়া। এখানে হাজার হাজার ইউরোপে গমন প্রত্যাশীকে আটক করে এ ধরনের অভিবাসী আটক কেন্দ্রগুলোতে রাখা হয়েছে। ত্রিপোলিকে কেন্দ্র করে লিবিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী দুই বাহিনীর লড়াই সম্প্রতি এসব আটক কেন্দ্রের এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে।
২০১১ সালে দেশটির সাবেক শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করে হত্যার পর থেকে লিবিয়ায় সহিংসতা বিরাজ করছে এবং দেশটি প্রতিদ্বন্দ্বী সরকার ও বাহিনীগুলোর মধ্যে বিভক্ত হয়ে আছে।