যুদ্ধের সম্ভাবনা বাতিল ইরানের, যুদ্ধ চায় না বলে জানাল

তেহরান কোনো যুদ্ধ চায় না এবং কোনো দেশ ‘ইরানের মুখোমুখি হওয়ার বিভ্রমে’ ভুগছে না বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 May 2019, 06:01 PM
Updated : 18 May 2019, 06:01 PM

শনিবার ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ-র এক প্রতিবেদনে এসব কথা জানানো হয়, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

সম্প্রতি তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে, এতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধ বেধে যেতে পারে এমন উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। 

কিন্তু বেইজিং সফর থেকে ফিরে এসে জারিফ আইআরএনএকে বলেছেন, “কোনো যুদ্ধ হবে না, কারণ আমরা কেউ যুদ্ধ চাই না, আর এই অঞ্চলে ইরানের মুখোমুখি হওয়ার মতো ধারণা বা বিভ্রান্তিতেও কেউ ভুগছে না।”

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ও স্বার্থকে হুমকি দেওয়ার জন্য ইরানকে অভিযুক্ত করে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি করেছেন। ওই অঞ্চলে বিমানবাহী রণতরী ও বি-৫২ বোমারু বিমান মোতায়েন করেছেন।

ট্রাম্পের এসব পদক্ষেপকে ‘মনস্তাত্ত্বিক লড়াই’ ও ‘রাজনৈতিক খেলা’ বলে অভিহিত করেছে তেহরান।

“ঘটনা হচ্ছে ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে বলেছেন এবং পুনরাবৃত্তি করেছেন যে তিনিও যুদ্ধ চান না, কিন্তু তার আশপাশের লোকজন তাকে যুদ্ধের জন্য ঠেলছে এই অজুহাতে যে তারা ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকাকে শক্তিশালী করতে চায়,” বলেছেন জারিফ।

উপসাগরীয় অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার পর গত সপ্তাহে পারস্য উপসাগরে কয়েকটি তেল ট্যাংকারে হামলার ঘটনা ঘটে, এরপর নিজেদের বাগদাদ দূতাবাস থেকে কিছু কূটনীতিক কর্মীকে সরিয়ে নেয় যুক্তরাষ্ট্র।

কয়েকদিন ধরে ওয়াশিংটন ও তেহরানের সামরিক শক্তি ব্যবহারের হুমকি-ধামকির পর ইরানের প্রতিবেশী ইরাকের একটি তেলক্ষেত্র থেকে বিদেশি কর্মীদের সরিয়ে নেয় তেল কোম্পানি এক্সন মবিল।

অন্যদিকে বাহরাইন ‘অস্থিতিশীল পরিস্থিতির’ জন্য তাদের নাগরিকদের ইরাক অথবা ইরানে ভ্রমণ করার বিষয়ে সতর্ক করে। 

ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা মার্কিন বাণিজ্যিক এয়ারলাইন্সগুলোকে পারস্য উপসাগর ও ওমান উপসাগরের উপর দিয়ে চলাচলের সময় সাবধানতা অবলম্বন করার আহ্বান জানায়।