যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য আলাবামার আইনপ্রণেতারা গর্ভপাত নিষিদ্ধের একটি বিলে অনুমোদন দিয়েছেন।
Published : 15 May 2019, 04:09 PM
ধর্ষণ কিংবা পাশবিক নির্যাতনের ফলে সৃষ্ট ভ্রুণের গর্ভপাতেও শাস্তির বিধান থাকায়, আইনে পরিণত হলে এ বিলটিই যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় গর্ভপাতবিরোধী সবচেয়ে কঠোর আইন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার আলাবামার সিনেটে বিলটি ২৫-৬ ভোটে অনুমোদিত হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
আইনপ্রণেতাদের সমর্থন পাওয়ায় বিলটি এখন অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান গভর্নর কে আইভির কাছে যাবে। কট্টর গর্ভপাতবিরোধী হিসেবে পরিচিত এ নারীর পরিচিতি আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ১৬টি অঙ্গরাজ্যে এখন গর্ভপাতের অধিকারে বাধানিষেধ আছে।
১৯৭৩ সালে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের এক ঐতিহাসিক আদেশে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে গর্ভপাত বৈধতা পেয়েছিল; আলাবামার বিলটি আইনে পরিণত হলে তা সুপ্রিম কোর্টের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে বলে ধারণা গর্ভপাতবিরোধীদের।
সিনেটে পাস হওয়ার আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে আলাবামার প্রতিনিধি পরিষদে গর্ভপাত নিষেধাজ্ঞার এ বিলটি ৭৪-৩ ভোটে পাস হয়েছিল।
বিলে মায়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতিতেই কেবল গর্ভপাতের অনুমতি দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য স্থানে ভ্রুণের হৃদস্পন্দন পাওয়ার পর গর্ভপাতে বিধিনিষেধ আছে। সাধারণত গর্ভধারণের ছয় সপ্তাহ পর ভ্রুণের হৃদস্পন্দন শোনা যায়।
অন্যদিকে আলাবামার বিলে গর্ভধারণের যে কোনো পর্যায়ে গর্ভপাতকে প্রথম শ্রেণির অপরাধ হিসেবে গণ্য করার কথা বলা হয়েছে। গর্ভাবস্থা নিরসনে যে কোনো ধরনের চেষ্টার জন্য চিকিৎসকদের ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে; গর্ভপাত ঘটালে তাদের ৯৯ বছর পর্যন্তও কারাদণ্ড হতে পারে।
বিলে গর্ভপাত ঘটানো নারীকে অপরাধী হিসেবে দায়ী না করার কথাও বলা হয়েছে, জানিয়েছে বিবিসি। কোনো মায়ের জীবন বিপন্ন হওয়ার মতো ঘটনা ঘটলেই কেবল গর্ভপাতের অনুমতি দেয়া হয়েছে।