তুরস্কের কয়েকটি গণমাধ্যম সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ করে দাবি করেছে, এসব ভিডিওতে নিখোঁজ সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশুগজিকে নিয়ে চক্রান্তের প্রমাণ আছে।
Published : 10 Oct 2018, 09:27 PM
ভিডিওতে দেখা যায়, সন্দেহভাজন কয়েকজন সৌদি গোয়েন্দা কর্মকর্তা ইস্তাম্বুলের বিমানবন্দর দিয়ে তুরস্কে ঢুকছেন এবং বেরিয়ে যাচ্ছেন।
সৌদি রাজতন্ত্রের সমালোচক খাশুগজি গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
তুরস্ক বলছে, খাশুগজিকে কনস্যুলেটের ভিতরেই হত্যা করা হয়েছে। সৌদি আরব এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
তুরস্কের টিআরটি ওয়ার্ল্ড চ্যানেলে সম্প্রচারিত সিসিটিভি ক্যামেরার ওই ভিডিওতে কনস্যুলেটের সামনে কালো ভ্যানসহ কয়েকটি গাড়ি এসে থামতে দেখা যায়।
আরো দেখা গেছে, সৌদি নাগরিকদের একটি দল ইস্তাম্বুল এয়ারপোর্ট দিয়ে তুরস্কে প্রবেশ করছেন, হোটেলে উঠছেন এবং পরে তুরস্ক ত্যাগ করছেন।
২ অক্টোবরে বিমানবন্দরে দুটি গাল্ফস্ট্রিম বিমান অবতরণের বিষয়টিও তুরস্কের গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন। ভিডিওতে ওই বিমান দুটিকে রানওয়েতে অপেক্ষমান দেখা যায়।
বিবিসি জানায়, খাশুগজি তার তুর্কি প্রেমিকা হাতিস চেঙ্গিসকে বিয়ে করার জন্য কনস্যুলেটে আগের বিয়ের তালাকের কাগজপত্র আনতে গিয়েছিলেন। ভিডিওতে দেখা যায়, হাতিসকে বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে কনস্যুলেটে প্রবেশ করেন খাশুগজি। এরপর তাকে আর বেরিয়ে আসতে দেখা যায়নি।
তুরস্কের সাবাহ পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, তারা খাশুগজির অন্তর্ধানের ঘটনায় জড়িত একটি গোয়েন্দা টীমের ১৫ সদস্যকে চিহ্নিত করেছে। তাদের মধ্যে একজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ আছেন।
ওই ১৫ জন ২ অক্টোবরে খাশুগজি নিখোঁজ হওয়ার কয়েকঘণ্টা আগেই শহরটিতে পৌঁছেছিল। তারা আবার একইদিনে দেশ ছেড়ে চলেও যায় বলে এর আগে জানিয়েছিল তুর্কি নিরাপত্তা বাহিনী।
পুলিশ ঘটনা তদন্তের আওতায় ১৫০টি সিকিউরিটি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখছে। কয়েকটি স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, খাশুগজিকে হয়ত হত্যা করা হয়নি বরং তাকে অপহরণ করা হয়ে থাকতে পারে।
সৌদি রাজপরিবারের সমালোচনা করায় সৌদি পত্রিকায় খাশুগজির কলাম নিষিদ্ধ করা হয় এমনকি টুইটও বন্ধ করতে বলা হয় বলে অভিযোগ আছে। এরপরই খাশুগজি সৌদি আরব ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিলেন।