ইতালির দক্ষিণাঞ্চলে একটি গভীর পার্বত্য গিরিসঙ্কটে বানের পানির তোড়ে ভেসে গিয়ে ডুবে থাকা পাথরে আঘাত পেয়ে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন।
Published : 21 Aug 2018, 10:13 AM
সোমবার কালাব্রিয়া অঞ্চলের ওই গিরিসঙ্কটের ওপরের দিকে বৃষ্টিপাত হওয়ার পর হঠাৎ করেই পানির প্রবল ধারা নেমে আসে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
ঘটনাস্থল থেকে আরও ১৮ জনকে উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে ইতালির বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ছয় জন ওই হঠাৎ বানের মধ্যে আহত হয়েছেন।
যারা বেশি আহত হয়েছেন তাদের হেলিকপ্টারে করে কোজেনজার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় কতোজন নিখোঁজ রয়েছেন তা পরিষ্কার নয়। কারণ ওই গিরিসঙ্কটটিতে যারা প্রবেশ করেছিলেন সবাই প্রাতিষ্ঠানিক গাইড নিয়ে যাননি, ফলে রেজিস্ট্রারে অনেকের নামও লিপিবদ্ধ হয়নি।
হতাহতদের জাতীয়তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের ওই এলাকাটিতে সাধারণত ইতালিয়ান পর্যটক ও ট্রেকাররাই বেশি যান।
পোল্লিনো জাতীয় উদ্যানের রাগানেল্লো ক্রিকের কিছু কিছু অংশ পর্বতের এক কিলোমিটার গভীর, খাড়া একটি গিরিসঙ্কটের নিচে অবস্থিত। উদ্ধারকারীরা দড়ি ব্যবহার করে পর্বতের ওই পাশটিতে নেমে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। গ্রীষ্মকালে এই উদ্যানটি জনপ্রিয় পর্যটন এলাকায় পরিণত হয়।
কালাব্রিয়ার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রধান কার্লো তানসি বলেছেন, “খুব অল্প সময়ের মধ্যেই গিরিসঙ্কটটি পানিতে ভরে যায় এবং এই লোকগুলো গুলির মতো ছিটকে যায়। উপত্যকাটির প্রায় তিন কিলোমিটার নিচে তাদের পাওয়া যায়।”
“ভূতাত্ত্বিকভাবেই এলাকাটি খুব বন্ধুর, প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধক দিয়ে ঠাসা,” বলেছেন প্রাদেশিক রাজধানী কোজেনজার প্রধান কৌঁসুলি এউজেনিয়ো ফ্যাচোল্লা।
ক্রিকের নিচের দিকে ছোট দ্বীপে অথবা তীরের দিকে কিছু লোক আটকা পড়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং উদ্ধারকারীরা তাদের সন্ধানে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত সপ্তাহে ইতালির উত্তরাঞ্চলীয় বন্দর শহর জেনোয়ায় একটি সেতু ধসে অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছিলেন।