জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব অনুমোদনের পরও সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত পূর্ব গৌতায় সরকারি বাহিনীর বিমান হামলা চলছে।
Published : 25 Feb 2018, 10:11 PM
দামেস্কের কাছে পূর্ব গৌতায় গত এক সপ্তাহ ধরে বোমাবর্ষণে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।
ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো এবং অসুস্থ ও আহতদের সরিয়ে নিতে এলাকাটিতে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব শনিবার অনুমোদন করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। এরপরও থেমে নেই হামলা।
সর্বশেষ হামলায় এলাকাটিতে স্থলঅভিযানও চলছে। জাতিসংঘের অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি শুরুর আহ্বানের কয়েকঘণ্টা পরই এ হামলা হয়েছে।
রোববার ফ্রান্স এবং জার্মানি যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের জন্য সিরিয়া সরকারকে চাপ দিতে রাশিয়াকে আহ্বান জানিয়েছে।
নিউ ইয়র্কে নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ভোটের পরও পূর্ব গৌতায় বিমান হামলা হয়েছে। এসব হামলায় অন্তত ৩ জন নিহত হয়েছে। ওদিকে, এলাকাটির একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী জানিয়েছে, তারা বেশ কয়েকজন সরকারি সেনাকে হত্যা করেছে।
পূর্ব গৌতার প্রধান শহর দৌমার উপকণ্ঠে বিমান হামলা চলছে বলে জানিয়েছে, ‘দ্য অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’। এলাকাটির দক্ষিণাঞ্চলে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে উভয়পক্ষেই বেশ কয়েকজন হতাহত হওয়ার খবরও জানিয়েছে অবজারভেটরি।
স্থল অভিযানের মধ্য দিয়ে সিরিয়া বাহিনী পূর্ব গৌতায় প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে রোববার জানিয়েছে সরকারপন্থি এবং বিদ্রোহী উভয় বাহিনী।
সরকারি বাহিনী কয়েকটি দিক থেকে পূর্ব গৌতায় ঢোকার চেষ্টা চালিয়ে আসলেও এ পর্যন্ত তারা প্রবল প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছে।
গত রোববার থেকে রাজধানী দামেস্কের কাছে বিদ্রোহীদের শক্তিশালী ঘাঁটি পূর্ব গৌতায় সরকারি বাহিনী ধারাবাহিকভাবে বোমাবর্ষণ করে আসছে।
বিবিসি বলেছে, পূর্ব গৌতায় যুদ্ধবিরতির জন্য বৃহস্পতিবার থেকে নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব আনার চেষ্টা চললেও বিশ্বশক্তিগুলো একমত না হওয়ায় দেরি হচ্ছিল।
সিরীয় সরকারের মিত্র রাশিয়া এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রস্তাবে পরিবর্তন আনার কথা বললে পশ্চিমা কূটনীতিকরা একে মস্কোর সময়ক্ষেপণের চেষ্টা অভিহিত করে তীব্র সমালোচনা করছিল।
শনিবারের প্রস্তাবের প্রাথমিক খসড়ায় কেবল ইসলামিক স্টেট (আইএস), আল- কায়েদা ও নুসরা ফ্রন্টকে যুদ্ধবিরতির বাইরে রাখার কথা বলা হলেও রাশিয়া এর সঙ্গে জঙ্গিদের ‘সহায়ক গোষ্ঠীগুলোকেও’ অন্তর্ভুক্তির দাবি জানায়।
পরে চূড়ান্ত প্রস্তাবে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর সহযোগী ‘ব্যক্তি, গোষ্ঠী, প্রতিষ্ঠান ও সম্পদ’কে সুনির্দিষ্ট করে এসবের ওপর হামলাকে যুদ্ধবিরতির আওতার বাইরে রাখা হয়।