বৃহস্পতিবার থেকে শুরু এই তীব্র শৈত্য প্রবাহে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়ে দেশটির ফেডারেল সরকার।
ফেডারেল প্রশাসনের দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, উইসকনসিনে ছয়জন, টেক্সাসে চার, নর্থ ক্যারোলিনায় তিন, নিউ ইয়র্কে দুই, ভার্জিনিয়ায় দুই এবং নিউজার্সি, ওহাইয়ো, মিশিগান, মিজৌরি, নর্থ ডেকটা ও সাউথ ক্যারোলিনায় একজন করে মারা গেছে।
তবে তুষার কেটে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু হওয়ার পরই মৃতের প্রকৃত সংখ্যা জানা সম্ভব হবে বলে এসব অঙ্গরাজ্য এবং বিভিন্ন সিটি প্রশাসনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া দপ্তরের শুক্রবার রাতের বুলেটিনে সবাইকে সতর্ক করে বলা হয়, শনি ও রোববারও ভার্জিনিয়া, ডেলাওয়্যার, পেনসিলভেনিয়া, নিউ জার্সি, নিউ ইয়র্ক, কানেকটিকাট, ম্যাসেচুসেটস, রোড আইল্যান্ড এবং নিউ হ্যামশায়ার রাজ্যের অধিকাংশ এলাকাতেই তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে ২০ ডিগ্রি থেকে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামবে।
নিউ ইয়র্ক এবং ওয়াশিংটন ডিসির স্কুলগুলোয় শুক্রবার ক্লাস শুরু হলেও উপস্থিতির হার ছিল ৫০ শতাংশেরও কম। তবে ফিলাডেলফিয়া, বস্টনসহ বেশ কটি বড় স্কুল ডিস্ট্রিক্টে শুক্রবারও বন্ধ ছিল স্কুল।
আক্রান্ত অঙ্গরাজ্যগুলোর সরকারি-বেসরকারি অফিসের কার্যক্রমে শুক্রবারও স্থবিরতা দেখা গেছে।
জাতীয় আবহাওয়া দপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে শিকাগো, ক্লিভল্যান্ড এবং বস্টনে আসছে রোববার ফের তুষারপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আর সোমবার তুষারপাত হতে পারে নিউ ইয়র্ক সিটি এবং ওয়াশিংটন ডিসিসহ বিস্তীর্ণ এলাকায়।