শুক্রবার জিম্বাবুয়ের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, দেশে ফিরে মুগাবের সঙ্গে কথা বলেছেন এমনানগাওয়া।
দ্য হেরাল্ড পত্রিকার খবরে আরও বলা হয়, ক্লান্তির কারণে এমনানগাওয়ার শপথ অনুষ্ঠানে মুগাবে উপস্থিত থাকবেন না এবং এ বিষয়ে দুই নেতার কথা হয়েছে।
দলের উত্তরসূরী নিয়ে দ্বন্দ্ব, ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদ থেকে এমনানগাওয়াকে বরখাস্ত, সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণ, ক্ষমতাসীন জানু-পিএফ পার্টি থেকে মুগাবেকে পদত্যাগের আহ্বান ও মুগাবের অস্বীকার, মুগাবেকে সরাতে অভিশংসন প্রস্তাব এবং সর্বশেষ মুগাবের পদত্যাগ।
এমাসের শুরুতে জিম্বাবুয়ের রাজনৈতিক অঙ্গনে একের পর এক নাটকীয়তার পর শান্তিপূর্ণ ভাবেই দেশটির ক্ষমতার পালাবদল হতে চলেছে।
১৯৮০ সালে ব্রিটিশ শাসন মুক্ত হওয়া জিম্বাবুয়ের স্বাধীনতার যুদ্ধের নেতৃত্ব দেন মুগাবে; যিনি আফ্রিকার জাতির পিতাদের একজন।
তারপর থেকে গত ৩৭ বছর ধরে সাবেক এই গেরিলা নেতাই জিম্বাবুয়ে শাসন করে আসছেন।
শুক্রবার রাজধানী হারারের একটি স্টেডিয়ামে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন এমনানগাওয়া।
ঐতিহাসিক এ মুহূর্তের সাক্ষী হতে এরই মধ্যে হাজার হাজার মানুষ স্টেডিয়ামে জড় হয়েছেন।
বরখাস্ত হওয়ার পর ‘নিরাপত্তার অভাবের’ কথা বলে দক্ষিণ আফ্রিকা পালিয়ে গিয়েছিলেন এমনানগাওয়া।
মুগাবের পদত্যাগের ঘোষণা আসার পরদিন বুধবার তিনি জিম্বাবুয়ে ফেরেন।