হোম
+
নতুন করে তীব্র দমকা হাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার ওয়াইন কাউন্টিজুড়ে দাবানল আরও ছড়িয়ে পড়েছে।
Published : 12 Oct 2017, 05:36 PM
রোববার থেকে শুরু হওয়া অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে বলে রাজ্যের ফায়ার সার্ভিসের প্রধানের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।
দ্রুত ছড়িয়ে পড়া অন্তত ২২টি বড় ধরণের জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডের কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোর হাজার হাজার বাসিন্দা বাড়ি ছেড়েছেন।
নিখোঁজের সংখ্যাও প্রায় ৩০০; যদিও পুলিশ বলছে, বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার কারণে এদের পাওয়া যাচ্ছে না।
ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতি এই দাবানলে সৃষ্ট ধোঁয়া ৬০ মাইলেরও বেশি এলাকা ছাড়িয়ে সানফ্রান্সিসকোর দক্ষিণ পর্যন্ত পৌঁছেছে।
“অত্যন্ত জটিল, সংকটপূর্ণ ও সর্বনাশা আগুন। সামনের অনেকগুলো দিন আমরা বনের বাইরে বের হতে পারবো বলে মনে হয় না,” বলেন ফায়ার সার্ভিস প্রধান কেন পিমলট।
মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও শঙ্কা তার।
অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা আবহাওয়া, মৃদু বাতাস ও উপকূলীয় কুঁয়াশার সুযোগ নিয়ে মঙ্গলবার দাবানল কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও পরে নতুন করে দমকা হাওয়া দাবানলকে শক্তিশালী করে বলে দমকল কর্মীরা জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকা থেকে দু্ইশরও বেশি ফায়ার ইঞ্জিনিয়িার ও ক্রুকে আগুন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পাঠানো হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আগুন নেভাতে ৭৩টি হেলিকপ্টার, ৩০টি এয়ার ট্যাঙ্কার ও প্রায় ৮ হাজার দমকলকর্মীকে ‘যুদ্ধ করতে হচ্ছে’ বলে পিমলট জানান।
দাবানল এরই মধ্যে এক লাখ ৭৫ হাজার বাসিন্দার সান্তা রোজা শহরকে ছাইয়ে পরিণত করেছে।
নাপা কাউন্টির কালিস্তোগা এলাকাসহ বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এলাকাগুলোতে গাড়ি চলাচলও বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।
দাবানলের কারণে সোনোমা কাউন্টি এলাকাতেই অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ওই এলাকার ২৫ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেখানকার ৪০ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন।
এর বাইরে মেন্দোসিনো কাউন্টিতে ছয়জন, ইয়ুবা কাউন্টিতে ২ এবং নাপা কাউন্টিতে আরও ২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই তাদের নিখোঁজ বন্ধু ও আত্মীয়স্বজনের সন্ধানে আবেদন জানিয়েছেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর জেরি ব্রাউন সোনোমা, নাপা এবং আরও ৫টি এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।
