যুক্তরাজ্যে পার্লামেন্ট নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর নিজের কনজারভেটিভ দলের এমপি’দের তোপ সামলে নেতৃত্ব ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে।
Published : 12 Jun 2017, 09:37 PM
সোমবার কনজারভেটিভ আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মে তাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য এমপি’দের সমর্থন চাইবেন এবং তার প্রধানমন্ত্রী থাকা উচিত সে ব্যাপারে দলের সদস্যদের রাজি করানোর চেষ্টা নেবেন।
ফল বিপর্যয়ের পর বিরোধী দলের পাশাপাশি কয়েকজন কনজারভেটিভ নেতাও মে’কে প্রধানমন্ত্রী এবং দলীয় নেতার পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
যদিও নির্বাচনে হতাশজনক ফলাফলের পরও এখন পর্যন্ত দলে মে’র অবস্থান নিরাপদই আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হতে পার্লামেন্টে বাধার মুখে এপ্রিলে হঠাৎ করেই আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন মে।
৮ জুনের নির্বাচনে ফলাফল বিপর্যয়ে পড়ে মে’র দল।
গতবারের চেয়ে এবার ১৩টি আসন কম পাওয়ায় পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় দলটি। এবার তারা ৩১৮টি আসন পেয়েছে।
যদিও নর্দান আয়ারল্যান্ডের দল ডিইউপির সঙ্গে জোট সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন মে। ডিইউপির আসন সংখ্যা ১০। সরকার গঠন করতে হলে ৩২৬টি আসন প্রয়োজন।
কয়েকটি আসন হারিয়ে আগাম নির্বাচনের খেসারত দেয়া কনজারভেটিভ এমপি এই নির্বাচন অপ্রয়োজনীয় ছিল বলে ক্ষুব্ধ মন্তব্য প্রকাশ করেন।
রানির ভাষণের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে নতুন পার্লামেন্টের পথচলা শুরু হয়। ভাষণে রানি নতুন সরকারের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরেন। সরকারের পক্ষ থেকেই ওই ভাষণ লিখে দেওয়া হয়।
১৯ জুন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের নতুন পার্লামেন্টে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু এখনও ডিইউপির সঙ্গে কনজারভেটিভ দলের দর কষাকষি চলছে। যেকারণে রানীর ভাষণের তারিখ কয়েকদিন পিছাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
মঙ্গলবার ডেমক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির (ডিইউপি) নেতা আরলেন ফস্টারের সঙ্গে মে’র বৈঠক করার কথা রয়েছে।
প্রধান বিরোধীদল লেবার পার্টির পক্ষ থেকে রানীর ভাষণ পিছিয়ে যাওয়াকে সরকার ‘বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে’ বলে মন্তব্য করা হয়। নির্বাচনের পর ব্রেক্সিট আলোচনার উপরও শঙ্কার ছাড়া পড়েছে।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১৯ জুন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট আলোচনা শুরু হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু একই দিন নতুন সরকারের কর্ম পরিকল্পনা ঘোষণা দেওয়ার তারিখ নির্ধারিত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ওই দিন ব্রেক্সিট আলোচনা নাও হতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্রেক্সিট মন্ত্রী ডেভিড ডাভিস।
ওদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন কনজারভেটিভ এমপিদের মেকে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
যদিও মেকে দলীয় নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হলে তার স্থলে জনসনের আসার সম্ভাবনার কথাই বেশি শোনা যাচ্ছে। ফলাফল বিপর্যয়ের দায় কাঁধে নিয়ে এরই মধ্যে মে’র ঘনিষ্ঠ দুই সহযোগী নিক টিমথি ও ফিওনা হিল পদত্যাগ করেছেন।