মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ উত্তর কোরিয়ার সম্মানহানি করার চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করেছেন কিম জং ন্যামের হত্যাকাণ্ডের সন্দেহভাজন রি জং চোল।
Published : 04 Mar 2017, 11:19 AM
তিনি এই চক্রান্তের শিকার বলে দাবি করেছেন রি।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সৎভাই ন্যামের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আছেন সন্দেহে উত্তর কোরীয় নাগরিক রিকে গ্রেপ্তার করেছিল মালয়েশীয় পুলিশ। কিন্তু অভিযুক্ত করার পক্ষে পর্যাপ্ত প্রমাণ না পেয়ে মুক্তি দিয়ে তাকে দেশে পাঠিয়ে দেয়।
দেশে ফেরার পথে শনিবার ভোররাতে চীনের রাজধানী বেইজিং পৌঁছান রি। সেখানে উত্তর কোরীয় দূতাবাসের সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেন তিনি।
মালয়েশিয়া বলপ্রয়োগে তার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করেছিল বলে এসময় অভিযোগ করেন তিনি।
রি জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের দিন তিনি কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে ছিলেন না এবং এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার গাড়ি ব্যবহৃত হয়েছে, এসব অভিযোগ সম্পর্কেও তিনি কিছু জানতেন না।
তিনি জানান, মিথ্যা সাক্ষ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার পরিবারকে আটক করে মালয়েশীয় পুলিশ সেই ছবি তাকে প্রদর্শন করেছে বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমি বুঝতে পারি উত্তর কোরিয়ার মর্যাদা ও সম্মান ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টায় করা চক্রান্ত এটি, একটি ষড়যন্ত্র।”
শনিবার দিনের প্রথমদিকে তিনি বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পরপরই দক্ষিণ কোরীয় ও জাপানি সাংবাদিকরা তাকে ঘিরে ধরেছিল। কিন্তু তিনি কিছু বলার আগেই চীনা পুলিশ বিশৃঙ্খলাপূরর্ণ ওই পরিস্থিতি থেকে তাকে দ্রুত সরিয়ে উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসে পৌঁছে দেয়। পরে সেখানেই তিনি এসব কথা বলেন।
১৩ ফেব্রুয়ারি কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে ন্যামকে হত্যা করা হয়। মৃত্যুর ১৫-২০ মিনিট আগে দুই নারী ন্যামের মুখে কিছু একটা মেখে দিয়েছিল। তদন্তে জানা যায়, তারা ন্যামের মুখে প্রাণঘাতী রাসায়নিক ভিক্স এজেন্ট মেখে দিয়েছিল।
গণবিধ্বংসি অস্ত্র হিসেবে জাতিসংঘের নিষিদ্ধঘোষিত রাসায়নিক অস্ত্রের তালিকায় ভিক্স এজেন্টের নাম আছে।
এই হত্যার ঘটনার জেরে কয়েক দশক ধরে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে আবদ্ধ মালয়েশিয়া-উত্তর কোরিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নাজুক হয়ে পড়েছে। মালয়েশিয়া সরাসরি কোনো অভিযোগ না করলেও এ হত্যার ঘটনায় উত্তর কোরিয়া জড়িত বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া।