কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে জাপানে চার দফা ভূমিকম্পের খবর পাওয়া গেছে।
Published : 26 Aug 2016, 09:16 PM
বুধবার এই ভূমিকম্পের সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫। তাৎক্ষণিকভাবে ভূমিকম্পজনিত কোনও ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ পাওয়া যায়নি।
ভূমিকম্পটির উৎপত্তি টোকিওর উত্তরপূর্বের ইবারাকি জেলায়। এ ভূমিকম্পের কারণে সুনামির কোনও আশঙ্কা না থাকলেও সাধারন সর্তকতা জারি করেছে জাপানের আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ভূ-তাত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস মতে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ১১ টার দিকে মিসুকাইডোতে ২ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ৭ কি.মি দূরে। এরপর বুধবার ভোর ৫ টা ৩৮ মিনিটে ৪ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পন অনুভূত হয়।
তৃতীয় দফায় ইবারাকির মিসুকাইডোতে রিখটার স্কেলে ৫ মাত্রার ভূমিকম্পে পুরো জাপানই কেঁপে উঠে। এই কম্পণের উৎপত্তিস্থল ছিল সমুদ্রতল থেকে ৩৭ কি.মি দূরে।
সর্বশেষ চতুর্থ দফায় স্থানীয় সকাল ৯ টা ৫০ মিনিট (বাংলাদেশ সময় সকাল ৬ টা ৫০ মি) দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের অসুচি এলাকায় ৪ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়।
জাপানের আবহাওয়া অধিপ্তর বলছে, আমরা সবাইকে সতর্কভাবে থাকতে বলছি। এ মূহুর্তে কোন সুনামিবার্তা নেই।
টোকিও থেকে ২শ’২০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বের ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিচালনা প্রতিষ্ঠান টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি অবস্থিত। সেখানে ভূমিকম্পে বড় ধরনের কোন ক্ষতি হয়নি বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে, ভুমিকম্পে জাপানের দ্রুতগামি ট্রেন (বুলেট) কয়েক মিনিটের জন্য বন্ধ ছিল। অন্যান্য ট্রেনও তাদের যাত্রা বিলম্ব করে।
এর আগে গত এপ্রিলে ৬ দশমিক ৫ মাত্রার ও ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় সাড়ে তিন লাখ বাসিন্দার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কুমামতো প্রদেশ।
দুই দিনের ওই ভূমিকম্পে ৪৯ জন নিহত হয়। প্রায় দেড় মাস আশ্রয় কেন্দ্রে থাকার পর গত মাসের শেষের দিকে মানুষজন ঘরে ফেরে।