তাইওয়ানে ভূমিকম্পে বহুতল ভবন ধসে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু

দক্ষিণ তাইওয়ানে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৭তলা একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবন ধসে নবজাতক শিশুসহ এক ডজনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ৩০ জন।

তাইওয়ানে ভূমিকম্পে ১৭তলা ভবন ধসে পড়ার পর উদ্ধারকর্মীরা একটি শিশুকে উদ্ধার করে নিয়ে আসছে।ছবি: রয়টার্স তাইওয়ানে ভূমিকম্পে ১৭তলা ভবন ধসে পড়ার পর উদ্ধারকর্মীরা একটি শিশুকে উদ্ধার করে নিয়ে আসছে।ছবি: রয়টার্স

তাইওয়ানে ভূমিকম্পে ১৭তলা ভবন ধসে পড়ার পর উদ্ধারকর্মীরা নবজাতক একটি শিশুর মৃতদেহ বের করে আনছে।ছবি: রয়টার্স তাইওয়ানে ভূমিকম্পে ১৭তলা ভবন ধসে পড়ার পর উদ্ধারকর্মীরা নবজাতক একটি শিশুর মৃতদেহ বের করে আনছে।ছবি: রয়টার্স

তাইওয়ানে ভূমিকম্পে ১৭তলা ভবন ধসে পড়ার পর সেখানে উদ্ধার কার্যক্রম চলছে।ছবি: রয়টার্স তাইওয়ানে ভূমিকম্পে ১৭তলা ভবন ধসে পড়ার পর সেখানে উদ্ধার কার্যক্রম চলছে।ছবি: রয়টার্স

তাইওয়ানে ভূমিকম্পে ১৭ তলা ভবন বিধ্বস্ত

ধসে পড়ার সময় গোল্ডেন ড্রাগন অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে অন্তত ২৫৬ জন ছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

তাদের মধ্যে দুইশজনের বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।

শহরের অন্য স্থানে আরও দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

শনিবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টার দিকে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পটি হয়।

ভূমিকম্পটির উৎপত্তি দক্ষিণাঞ্চলীয় তাইনান শহর থেকে ৪৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ভূপৃষ্ঠের ২৩ কিলোমিটার গভীরে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা।

মূল ভূমিকম্পটির পর আরো বেশ কয়েকটি পরাঘাত অনুভূত হয়েছে বলে তাইওয়ানের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে।

ধসে পড়া ১৭ তলা ভবনের বিপরীত দিকের ভবনের বাসিন্দা ৭১ বছর বয়সী চ্যাং বলেন, “আমি টেলিভিশন দেখছিলাম। হঠাৎ করে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি শুরু হয় এবং আমি ‘‘বুম’’ শব্দ শুনতে পাই। আমি দরজা খুলে দেখতে পাই বিপরীত দিকের ভবনটি ধসে পড়েছে।”

ঘটনার পরপরই উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া একজন প্লাম্বার বলেন, “আমি আমার মই ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে জানালা ভেঙ্গে এক নারীকে উদ্ধার করি। তিনি তার স্বামী ও বাচ্চাদের উদ্ধারের জন্য আমাকে ভবনের পেছন দিকে যেতে বলেন। কিন্তু গ্যাস বিস্ফোরণে হতে পারে বলে ভয়ে আমি সেখানে যেতে পারিনি। ওই সময় অনেক মানুষ সাহায্যের জন্য চিৎকার করছিল। কিন্তু আমার মই অনেক ছোট ছিল। তাই আমি তাদের সাহায্য করতে পারছিলাম না।”

দুই সন্তানসহ ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে উদ্ধার পাওয়া এক নারী ঘটনার বর্ণনায় বলেন, “উদ্ধারকর্মীরা ভবনের একটির পর একটি তলা ভেঙ্গে আমাদের দেওয়াল বেয়ে উপরে উঠে আসতে বলে। আমি তাদের জানাই আমার শিশুরা খুই ছোট, তারা দেওয়াল বেয়ে উপরে উঠতে পারবে না। তখন তারা একটি বড় গর্ত খোঁড়ে এবং একজন উদ্ধারকর্মী দড়ি বেঁধে বিধ্বস্ত ভবনের ভেতর ঢুকে তাদের বাইরে নিয়ে আসেন। এরপর আমি আস্তে আস্তে উপরে উঠে আসি।”

ভূমিকম্পে তাইনান শহরের আরও  নয়টি বহুতল ভবন হেলে পড়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

আহত হয়েছে পাঁচশতাধিক মানুষ। তাদের মধ্যে অন্তত ৯২ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রশিক্ষিত কুকুর নিয়ে আটশর বেশি সেনা সদস্য উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে।

তাইনানে প্রায় ২০ লাখ মানুষ বসবাস করে।