আগামী বছর থেকে ভিসা ছাড়াই রাশিয়া ভ্রমণের সুযোগ পেতে পারেন ভারতের পর্যটকরা।
Published : 16 Dec 2024, 08:59 PM
২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময় থেকেই রাশিয়া যেতে ভারতীয় পর্যটকদের ই-ভিসা লাগে। এজন্য চার দিনেই রাশিয়া যাওয়ার ভিসা পেয়ে যায় ভারতীয় পর্যটকরা। এবার রাশিয়ায় বেড়াতে যাওয়া সম্ভবত খুব শিগগিরই আরও সহজ হতে চলেছে ভারতীয়দের জন্য।
আগামী বছর থেকে ভিসা ছাড়াই রাশিয়া ভ্রমণের সুযোগ পেতে পারেন ভারতের পর্যটকরা। এই নতুন সিদ্ধান্ত দুই দেশের মধ্যকার পর্যটন সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বর্তমানে ভারতীয় পাসপোর্ট থাকলেই বিশ্বের ৬২ টি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করা যায়। এবার সে তালিকায় যোগ হবে রাশিয়াও। ইন্ডিয়া টুডে’র খবরে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের বসন্তের শুরুর দিকেই ভারতীয়রা এ সুযোগ পেয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
চলতি বছরের জুনেই ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি ও রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর মধ্যে ভিসাবিধি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভিসাবিহীন পর্যটন নিয়ে আলোচনা হয়।
রাশিয়া বলছে,দুই দেশের পর্যটন খাতে সম্পর্ক আরও মজবুত করতে 'ভিসা ফ্রি গ্রুপ টুরিস্ট এক্সচেঞ্জ' নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জুনে প্রথম দফা আলোচনার পর, বছর শেষে একটি দ্বিপাক্ষীয় চুক্তি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২০২৩ সালেই প্রায় ৯ হাজার ৫০০ পরীক্ষার্থীকে ই-ভিসা দিয়েছে মস্কো, যা তাদের ইস্যু করা মোট ই-ভিসার ৬ শতাংশ। এতে করে রাশিয়া যে সব দেশের নাগরিকদের ই-ভিসা দিয়ে থাকে তার মধ্যে প্রথম পাঁচ দেশের কাতারে চলে আসে ভারত।
ভারতীয় পত্রিকা এনডিটিভি জানায়, গত কয়েক বছরে রাশিয়ায় উল্লেখযোগ্য হারে ভারতীয় পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে।
মস্কো সিটি ট্যুরিজম কমিটির চেয়ারম্যান কোজলভ জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে ২৮ হাজার ৫০০ ভারতীয় সেখানে ঘুরতে গেছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এ সংখ্যা দেড় গুণ বেশি।
বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে সিআইএস (কমনওয়েলথ অব ইন্ডিপেনডেন্ট স্টেটস) বহির্ভুত দেশগুলোর মধ্যে মস্কোয় ভারতীয় ভ্রমণকারীর সংখ্যা ছিল উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেশি।
এর আগের বছর অর্থাৎ, ২০২২ সালের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেড়ে এ সংখ্যা ৬০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। অধিকাংশ ভারতীয়ই ব্যবসা বা কাজের জন্য রাশিয়া ভ্রমণ করেন।
মস্কো ট্যুরিজম কমিটির চেয়ারম্যান কোজলভ বলেন, “চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ব্যবসায়িক উদ্দেশে রাশিয়ায় ভ্রমণকারীদের সংখ্যা বিচারে, সিআইএস-বহির্ভূত দেশগুলোর মধ্যে ভারত তৃতীয় অবস্থানে ছিল।
দুই দেশের দীর্ঘদিনের দৃঢ় সম্পর্কের কারণে ভারতের বাজারকে অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছে মস্কো কর্তৃপক্ষ।”