প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর, সিন্ধু পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে, পূর্ণ সহযোগিতার নির্দেশ।
Published : 23 Aug 2024, 02:37 PM
পাকিস্তানের পাঞ্জাব-সিন্ধু সীমান্তের কাছে মাচকা এলাকায় ডাকাতদের রকেট হামলায় অন্তত ১১ পুলিশ সদস্য নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন।
পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম ডন জানায়, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, ডাকাতের সন্ধানে রহিম ইয়ার খান এলাকার মরুভূমিতে টহল দিচ্ছিলেন ওই পুলিশ সদস্যরা।
কাচা (নৌমারী) এলাকার একটি ক্যাম্প থেকে ফেরার পথে পুলিশের দুটি গাড়ির একটি রাস্তার কাদায় আটকে যায়। সে সময়ই তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা রকেটচালিত গ্রেনেডও ব্যবহার করে।
হামলার পর কয়েকজন পুলিশ নিখোঁজ রয়েছেন জানিয়ে ডন বলছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
হামলার সময় দুই গাড়িতে কতজন পুলিশ সদস্য ছিলেন তা স্পষ্ট নয়।
তবে শেখ জায়েদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পরিচালক ডা. মুহাম্মদ জুবায়ের বলেছেন, ১৬ জন হতাহতের খবর পেয়েছেন তারা।
তিনি বলেন, তারা আহতদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং জরুরি বিভাগের কর্মীদের সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে।
একটি সূত্র জানায়, সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে কয়েকজন ডাকাত নিহত হওয়ার পর স্থানীয় জেলা পুলিশকে পাল্টা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
এর আগে জুলাই ও অগাস্টে দুই দফা হামলায় ছয় পুলিশ সদস্য নিহত হন।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাঞ্জাবের পুলিশ প্রধান ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের রহিম ইয়ার খানের কাছে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি ১১ জন পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং হামলাকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।