১৭ বছর বয়সে তাকে ডিউক অব ইয়র্কের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল বলে তিনি অভিযোগ করেছিলেন।
Published : 26 Apr 2025, 09:48 AM
ব্রিটিশ প্রিন্স অ্যান্ড্রু ও মার্কিন বিনিয়োগকারী জেফরি এপস্টেইনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগকারী ভার্জিনিয়া জিউফ্রে ৪১ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেছেন।
স্বজনরা শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একজন ‘অকুতোভয় যোদ্ধা’ ছিলেন এবং এই নিপীড়নের ভার...অসহনীয় হয়ে উঠেছিল।
“আজীবন যৌন নিপীড়ন ও যৌন পাচারের শিকার হওয়ার পর তিনি আত্মহত্যা করেছেন।”
বিবিসি লিখেছে, এপস্টেইন এবং ব্রিটিশ অভিজাত নারী ঘিসলাইন ম্যাক্সওয়েলের বিরুদ্ধে অন্যতম কণ্ঠস্বর ছিলেন জিউফ্রে। তার অভিযোগ, ১৭ বছর বয়সে তাকে ডিউক অব ইয়র্কের হাতে তুলে দেয় এপস্টেইন ও ঘিসলাইন; যদিও প্রিন্স অ্যান্ড্রু তা জোরালভাবে অস্বীকার করে আসছেন।
তার পরিবারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “যৌন নিপীড়ন ও যৌন পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভার্জিনিয়া একজন অকুতোভয় যোদ্ধা ছিলেন। তিনি ছিলেন সেই আলো, যিনি নির্যাতিত বহু মানুষের শক্তির উৎস হয়ে উঠেছিলেন।”
বৃহস্পতিবার পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় নিজের খামারে তিনি মারা যান বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়া পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে নিরগাব্বির একটি বাড়িতে এক নারীকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাদের ফোন করা হয়।
পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “দুঃখজনকভাবে ৪১ বছর বয়সী ওই নারীকে ঘটনাস্থলেই মৃত ঘোষণা করা হয়।
“এই মৃত্যুর তদন্ত করছেন মেজর ক্রাইম বিভাগের গোয়েন্দারা; প্রাথমিকভাবে এই মৃত্যুকে সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে না।”
বিবিসি লিখেছে, জিউফ্রে সম্প্রতি সন্তান ও স্বামী রবার্টের সঙ্গে উত্তর পার্থের শহরতলিতে বসবাস করছিলেন। যদিও তারা ২২ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন বলে সাম্প্রতিক বিভিন্ন খবরে বলা হয়েছে।
তিন সপ্তাহ আগে তিনি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে জানিয়েছিলেন, গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তিনি।
জিউফ্রে অভিযোগ করেছিলেন, এপস্টেইন এবং ঘিসলাইন ম্যাক্সওয়েল তাকে ১৭ বছর বয়সে ডিউক অব ইয়র্কের কাছে তুলে দিয়েছিলেন।
প্রিন্স অ্যান্ড্রু সবধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে ২০২২ সালে তার সঙ্গে আদালতের বাইরে সমঝোতায় পৌঁছেছিলেন।
চুক্তির শর্তানুযায়ী, তিনি একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন, যেখানে তিনি এপস্টাইনের সঙ্গে তার সম্পর্কের জন্য অনুশোচনা প্রকাশ করেন, কিন্তু এতে দায় স্বীকার বা ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়নি।
আমেরিকান নাগরিক জিউফ্রে বলেছেন, কিশোরী বয়সে তিনি যৌন পাচারের শিকার হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ২০০০ সালে ব্রিটিশ অভিজাত নারী ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়েছিল। সেখান থেকে তাকে এপস্টাইনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। জিউফ্রে অভিযোগ করেন, পরবর্তী কয়েক বছর ধরে এপস্টাইন ও তার সহযোগীদের হাতে তিনি নির্যাতনের শিকার হন।