লেবাননে ইসরায়েলের নতুন কোনও সামরিক অভিযান ‘অভাবনীয় পরিণতি’ ডেকে আনতে পারে বলে হুঁশিয়ার করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
Published : 28 Jul 2024, 05:20 PM
গোলান মালভূমিতে রকেট হামলার পর হিজবুল্লাহকে ‘চড়া মূল্য দিতে হবে’ বলে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে লেবাননে ‘নতুন কোনও সামরিক অভিযানের’ পরিকল্পনার বিষয়ে ইসরায়েলকে হুঁশিয়ার করেছে ইরান।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি রোববার এক বিবৃতিতে বলেছেন, লেবাননে ইসরায়েলের নতুন কোনও অভিযান ‘অভাবনীয় পরিণতি’ ডেকে আনতে পারে।
তিনি বলেন, “ইহুদি রাষ্ট্রটির কোনওরকম কাণ্ডজ্ঞানহীন তৎপরতা এ অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা, অনিরাপত্তা এবং যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। ইসরায়েল তাদের এমন নির্বোধ আচরণের প্রতিক্রিয়া এবং অভাবনীয় পরিণতির জন্য নিজেরাই দায়ী হবে।”
শনিবার ইসরায়েল অধিকৃত গোলান মালভূমির একটি ফুটবল মাঠে রকেট হামলায় ১২ জন শিশু-কিশোর নিহত হয়। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর ছোড়া একটি রকেট দ্রুজ শহর মাজদাল শামসে পড়ে।
প্রাণঘাতী এই হামলার জন্য ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে দায়ী করেছে ইসরায়েল। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে হিজবুল্লাহ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গোলানে রকেট হামলার পরই হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ার অঙ্গীকার করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত হামলাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, “তারা শত্রুপক্ষকে কঠোর জবাব দেবেন।” এরপরই ইরানের পক্ষ থেকে ইসরায়েলকে সতর্ক করা হল।
রকেট হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধ বেধে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে নিয়মিতভাবেই ইসরায়েল ও লেবাননের হিজবুল্লাহর মধ্যে সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে।
গতবছর ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে শনিবারের রকেট হামলাতেই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে।
জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বড় ধরনের সংঘাতের ঝুঁকি থাকায় সব পক্ষের জন্যই “সর্বোচ্চ সংযম' খুবই গুরুত্বপূর্ণ; নাহলে 'পুরো অঞ্চল অবিশ্বাস্য বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে।”