ঝড়ের পরই দেশটির কর্তৃপক্ষ সারাদেশে বন্যা ও ভূমিধসের সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
Published : 31 Aug 2024, 06:44 PM
জাপানের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় কাগোশিমা প্রিফেকচারের উপকূল দিয়ে স্থলে উঠে আসা টাইফুন শানশানের তাণ্ডবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার পূর্বদিকে মোড় নেওয়া টাইফুনটির প্রভাবে বড় একটি এলাকাজুড়ে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে, এতে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র থেকে শত শত কিলোমিটার দূরেও ভূমিধস এবং বন্যার সতর্কতা জারি করা হচ্ছে।
দেশটির অবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকালে টাইফুনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৯৮ কিলোমিটার বেগের দমকা হওয়াসহ জাপানের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় কিউশু দ্বীপের সাতসুমা সেন্দাই শহরের উপর দিয়ে স্থলে উঠে আসে।
দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকের দেখানো ভিডিও ফুটেজে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে আংশিকভাবে ছাদ উড়ে গেছে এমন বাড়ির পাশাপাশি চাকা পর্যন্ত তলিয়ে যাওয়া রাস্তায় গাড়িগুলোকে চলতে দেখা গেছে।
শানশান বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকালে জাপানের কিউশু দিয়ে স্থলে উঠে আসে। এর প্রভাবে রেকর্ড স্তরের বৃষ্টিপাত হয়।
জাপানের দমকল ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, শানশানের তাণ্ডবে ছয়জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি একজন নিখোঁজ ও শতাধিক আহত হয়েছেন।
কিউশু ইলেকট্রিক জানিয়েছে, কিউশু দ্বীপের দক্ষিণাঞ্চলীয় কাগোশিমা প্রিফেকচারের ৩৫ হাজারেরও বেশি বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছিল।
শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে শানশানের কেন্দ্রস্থল টোকিও থেকে ৪৮০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে প্রশান্ত মহাসগরে অবস্থান করছিল। শুক্রবার এটি কিছুটা শক্তি হারিয়ে ক্রান্তীয় ঝড়ে পরিণত হলেও এর প্রভাবে জাপানের হোক্কাইডোর সর্ব উত্তরের প্রিফেকচারেও ভারি বৃষ্টি হচ্ছে এবং ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার দমকা হাওয়ার বেগসহ বয়ে যাচ্ছিল।
টাইফুনটির আর্বিভাবের পর থেকেই কর্তৃপক্ষ দেশজুড়ে বন্যা ও ভূমিধসের সতর্কতা জারি করেছে এবং বিমান ও রেল চলাচল এবং কলকারখানা বন্ধ রেখেছে।
রোবাবর শানশান আরও দুর্বল হয়ে ক্রান্তীয় নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, কিন্তু এর প্রভাবে ভারি বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, জানিয়েছে এনএইচকে।