লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের প্রকাশ করা পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দুই বছরের মধ্যে সাত শতাধিক ফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার এবং পেনড্রাইভ খোয়া গেছে।
Published : 27 Dec 2024, 02:10 PM
গত দুই বছরে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালযয়ের সংরক্ষণাগার থেকে বেশ কিছু অস্ত্রসহ ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস চুরি অথবা যাওয়ার তথ্য প্রকাশ হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, চুরি যাওয়া বা খোয়া যাওয়া জিনিসপত্রের মধ্যে একটি পিস্তল, রাইফেল এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধের নিষ্ক্রিয় মেশিনগানও ছিল।
লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের প্রকাশ করা পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দুই বছরের মধ্যে সাত শতাধিক ফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার এবং পেনড্রাইভ খোয়া গেছে।
দলটির প্রতিরক্ষা মুখপাত্র হেলেন ম্যাগুইয়ার বলেছেন, “এই ক্ষয়ক্ষতি 'খুবই উদ্বেগজনক'।
যুক্তরাজ্যের সরকার বলেছে, ক্ষয়ক্ষতি ও চুরি ঠেকাতে তাদের শক্তিশালী নীতি ও পদ্ধতি রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের আগের কনজারভেটিভ সরকারের সময়ে ২০২৩ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের সংখ্যা লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের লিখিত সংসদীয় প্রশ্নের জবাবে প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলে হয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটি নিষ্ক্রিয় লুগার পিস্তল এবং স্টেন সাবমেশিনগান ২০২৩ সালের জুনে হারিয়ে যায়।
এরপর, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে একটি এসএ৮০ রাইফেলও খোয়া যায়। যদিও দুটি অস্ত্র পরে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে লিখছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে একটি গ্লক ১৯ পিস্তলটি চুরি হয়।
হারিয়ে যাওয়া অস্ত্রের বিষয়ে সশস্ত্র বাহিনী মন্ত্রী লুক পোলার্ড বলেছেন, চুরির ঘটনাটি আগ্নেয়াস্ত্রের সুরক্ষা বিভাগ থেকে ‘অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে’ নেওয়া হয়েছে। সমস্ত ক্ষয়ক্ষতি এবং চুরির বিষয়ে কঠোরভাবে তদন্ত করা হয়েছে।
তবে, ২০২৪ সালে হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি।
প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে হারিয়ে যাওয়া মোবাইলের সংখ্যা ২০২৩ সালে ১০১টি থেকে বেড়ে ২০২৪ সালে ১৫৯টি হয়েছে। আবার পেনড্রাইভ ২০২৩ সালে ২০টি এবং ২০২৪ সালে ১২৫টি খোয়া গেছে।
তবে হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হওয়া ল্যাপটপের সংখ্যা ২০২৩ সালে ১৭৬টি থেকে ২০২৪ সালে ১৩৮টিতে নেমে এসেছে।
বিবিসি জানায়, গত এক বছরে ২৫টি কম্পিউটার হারিয়ে গেছে বা চুরি হয়েছে।
এদিকে, লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা কীভাবে এই ডিভাইসগুলো হারিয়ে গেল এবং ভবিষ্যতে ক্ষতি ও চুরি রোধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তা অবিলম্বে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
ম্যাগুইয়ার বলেন, “জাতীয় সুরক্ষার ক্ষেত্রে সরকার সক্রিয় হওয়ার চেয়ে অনেক চেয়ে বেশি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে।”
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, “আমরা প্রতিরক্ষা সম্পদের নিরাপত্তাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। লোকসান ও চুরি ঠেকাতে আমাদের শক্তিশালী নীতি ও পদ্ধতি রয়েছে।”
“সন্দেহজনক অপরাধমূলক কার্যকলাপের কারণে যদি কোনও সম্পদ হারিয়ে যায় বা চুরি হওয়ার খবর পাওয়া যায় তবে আমরা তদন্ত, দায়ীদের বিচার এবং জিনিসগুলো পুনরুদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করি,” মুখপাত্র যোগ করেছেন।