‘পুনরেকত্রীকরণ’ প্রস্তাব চীনের, গণতন্ত্রকে শ্রদ্ধা জানাতে বলল তাইওয়ান

চীনের প্রধানমন্ত্রীর ‘শান্তিপূর্ণ পুনরেকত্রীকরণ’ প্রস্তাবের জবাবে তাইওয়ান বলেছে, গণতন্ত্র, স্বাধীনতায় তাইওয়ানি জনগণের অঙ্গীকারকে বেইজিংয়ের শ্রদ্ধা করা উচিত।

রয়টার্স
Published : 5 March 2023, 02:15 PM
Updated : 5 March 2023, 02:15 PM

চীনের প্রধানমন্ত্রী লি খাখিয়াং তাইওয়ানের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ পুনরেকত্রীকরণের প্রস্তাব দিয়েছেন এবং তাইওয়ানের স্বাধীনতার বিরোধিতা করার অটল অবস্থানও ব্যক্ত করেছেন।

তবে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ান বলেছে, গণতন্ত্র, স্বাধীনতায় তাইওয়ানি জনগণের অঙ্গীকারকে বেইজিংয়ের শ্রদ্ধা করা উচিত।

গণতান্ত্রিক তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখন্ড বলে দাবি করে আসা চীন এই দ্বীপদেশটির কাছে গত তিনবছরে সামরিক তৎপরতা বাড়িয়েছে। ওয়াশিংটন এবং তাইপের মধ্যে সখ্যতার জবাবেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, বলে আসছে চীন।

গতবছর অগাস্টে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপে সফরের প্রতিক্রিয়ায় চীন তাইওয়ানের আকাশসীমা ঘেঁষে সামরিক মহাড়া চালায়

রোববার চীনা পার্লামেন্টের বার্ষিক সভার উদ্বোধনীতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি খাখিয়াং বলেছেন, বেইজিং ‘এক চীন’ নীতিতে অটল রয়েছে। বেইজিংয়ের এ নীতিতে বলা হয়েছে, তাইওয়ান চীনের অংশ।

তিনি বলেন, “সরকারের উচিত তাইওয়ান প্রশ্নের সমাধানে দলের নীতির বাস্তবায়ন করা। তাইওয়ানের স্বাধীনতার বিরোধিতা করতে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া এবং পুনরেকত্রীকরণ শুরু করা।

“আমাদের উচিত, তাইওয়ানের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ উন্নয়নমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং চীনের শান্তিপূর্ণ পুনরেকত্রীকারণ প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া।”

চীনা প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তাইপের পক্ষ থেকে বলা হয়, চীনের এই বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়া উচিত যে তাইওয়ান প্রণালীর দুই পাশ একে অপরের অধীনস্ত নয়।

চীন সরকারের উচিত, তাইওয়ানের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা। তাইওয়ানের সঙ্গে চীনের শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলন প্রক্রিয়াকে বেইজিংয়ের এগিয়ে নেওয়া।

গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের মূল ধারণার প্রতি তাইওয়ানের জনগণের অঙ্গীকারকে বেইজিংয়ের শ্রদ্ধা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছে তাইপে।

তারা আরও বলেছে, বেইজিংয়ের উচিত, তাইওয়ান-সংক্রান্ত বিষয়গুলো বাস্তবসম্মতভাবে, যুক্তিসংগতভাবে, সমানভাবে এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার সঙ্গে বিবেচনা করা, যাতে আলোচনার সুস্থ পরিবেশ তৈরি হয়।

তাইওয়ান নিজেদেরকে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দেখে। তাইওয়ানের নিজস্ব সংবিধান ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতা রয়েছে। চীনের কর্তৃত্ববাদী শাসনের অধীনে থাকতে তারা আগ্রহী নয়।