ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ বলেছেন, রাশিয়া, ইরান, চীন এবং উত্তর কোরিয়া ক্রমেই আরও বেশি করে জোটবদ্ধ হচ্ছে।
Published : 07 Apr 2024, 09:27 PM
নেটো প্রধান ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলোর বিরুদ্ধে অনেক বেশি ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে ‘কর্তৃত্ববাদী শক্তির দেশগুলোর একটি জোট’।
বিবিসি-কে স্টলটেনবার্গ বলেন, রাশিয়া, ইরান, চীন এবং উত্তর কোরিয়া ক্রমেই আরও বেশি করে জোটবদ্ধ হচ্ছে।
স্টলটেনবার্গ পশ্চিমা সামরিক জোট নেটোর প্রধান হয়েছে ১০ বছর আগে। এই জোটের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিবিসি-কে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। রোববার সেটি প্রচারিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এই সাক্ষাৎকারেই সাংবাদিক লরা কেসেনবার্গকে স্টলটেনবার্গ বলেছেন, বিশ্ব এখন অনেক বেশি বিপজ্জনক। অনেক বেশি অনিশ্চিত এবং অনেক বেশি সহিংস। বিশ্বে এখন একটি কর্তৃত্ববাদী জোট আছে, যারা একে অপরকে বাস্তবিক সমর্থন দিচ্ছে এবং উত্তরোত্তর একাট্টা হচ্ছে।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “যুদ্ধে রাশিয়ার অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসাবে কাজ করছে চীন। প্রতিরক্ষাখাতে গুরুত্বপূর্ণ সাজ-সরঞ্জাম সরবরাহ করছে তারা। বিনিময়ে রাশিয়াও তাদের ভবিষ্যৎ চীনের কাছে গচ্ছিত রাখছে।”
ওদিকে, ইরান ও উত্তর কোরিয়া থেকে গোলাবারুদ এবং সামরিক যন্ত্রপাতি পাওয়ার বিনিময়ে রাশিয়া দেশদুটিকে প্রযুক্তি সহায়তা দিচ্ছে।
কর্তৃত্ববাদী শক্তির এই জোটের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হলে নেটো জোটকে এর ভৌগলিক সীমানার বাইরে গিয়ে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করতে হবে (যেমন: জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশ) বলে মত দেন স্টলটেনবার্গ।
নেটো প্রধান স্টলটেনবার্গ সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইউক্রেইনকে আরও অর্থসহায়তা দিতে আরও বেশি দেশকে রাজি করানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন।
নেটো দেশগুলো আগামী জুলাইয়ের মধ্যে ইউক্রেইনে অর্থায়নের একটি চুক্তিতে পৌঁছতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। যদিও এখনও কিছু দেশ এমন সহায়তা করতে এ সপ্তাহেই দ্বিধা প্রকাশ করেছে।
স্টলটেনবার্গ বলেন, ইউক্রেইনকে দীর্ঘমেয়াদে সমর্থন দিয়ে যাওয়া এবং যুদ্ধের পরও পুনর্গঠনে সহায়তা করাটা এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
“আমরা যদি এটি বিশ্বাস এবং আশাও করি যে, অদূর ভবিষ্যতে যুদ্ধ শেষ হবে,তাহলেও ভবিষ্যতে কোনরকম আগ্রাসন ঠেকাতে আমাদেরকে ইউক্রেইনের প্রতিরক্ষা গড়ে তোলার জন্য বহু বহু বছর ধরে সহায়তা করে যেতে হবে।
ইউক্রেইন থেকে রাশিয়াকে তাড়াতে এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে তার দখলদারিত্বে লক্ষ্য থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য কিইভকে সামরিক সহায়তা দেওয়া জরুরি বলে উল্লেখ করেন স্টলটেনবার্গ। তবে তিনি এও বলেন যে, ইউক্রেইনকেও শেষ পর্যন্ত কিছু ছাড় দিতে হতে পারে।