যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক চুক্তি সম্পাদনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
Published : 10 Feb 2024, 04:09 PM
কয়েক কোটি ডলারের আর্থিক সহায়তা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরের ভূমিতে আরও বেশি নিয়ন্ত্রণসহ বেশ কয়েকটি শর্তের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি আরব-ইসরায়েল ত্রিপক্ষীয় চুক্তি মানার বিষয়ে বিবেচনা করে দেখতে ফিলিস্তিন রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বুধবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে দেশটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) কর্মকর্তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও পিএ প্রতিনিধিদের দেখা হওয়ার কথা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক চুক্তি সম্পাদনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সৌদি-ইসরায়েল চুক্তিকে তার বৈদেশিক নীতির একটি বড় অর্জন হিসেবে আগামী বছর নির্বাচনের আগে ভোটারদের সামনে উপস্থাপন করতে চাইছেন।
মুসলিম এবং আরব বিশ্বের নেতা সৌদি আরব কখনোই ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিনিময়ে সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আমেরিকার তৈরি সবচেয়ে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র পাওয়ার নিশ্চয়তা দাবি করেছে।
তাদের সবচেয়ে বিতর্কিত দাবিটি হচ্ছে, একটি বেসামরিক পরমাণু প্রকল্প করতে দেওয়া, যার মধ্যে দেশের ভেতর ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণও রয়েছে।
এই চুক্তিতে ইসরায়েল লাভবান হবে মূলত বাণিজ্য এবং প্রতিরক্ষা সম্পর্ক গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে। সেইসঙ্গে দেশটি বরাবরই ওই অঞ্চলে ঐতিহাসিক একত্রীকরণের চেষ্টা করে করে যাচ্ছে। ২০২০ সালে কয়েকটি আরব রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ চুক্তির মধ্য দিয়ে যে চেষ্টা সফল হতেও শুরু করেছে।
সংবাদ সূত্র: বিবিসি
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)