সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে আরব, তুরস্ক ও ইউরোপের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় জর্ডানে এ কথা বলেন ব্লিঙ্কেন।
Published : 15 Dec 2024, 12:16 PM
সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতনের পর দেশটির নিয়ন্ত্রণকারী এইচটিএস নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী জোটের সঙ্গে 'সরাসরি যোগাযোগ' রেখে চলার কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
যদিও সিরিয়ার এই বিদ্রোহী জোটের নেতৃত্ব দেওয়া হায়াত তাহরির আল-শামকে যুক্তরাষ্ট্র একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছিল এক সময়।
বিবিসি জানিয়েছে, সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে আরব, তুরস্ক ও ইউরোপের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার জন্য জর্ডানে অবস্থান করা ব্লিঙ্কেন এ কথা বলেছেন।
জর্ডানে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হুসেইন সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
কর্নেল গাদ্দাফিকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের পর সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা আরেকটি লিবিয়া দেখতে চাই না।”
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেছেন, “সিরিয়ার বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্যই সংরক্ষণ ও সংস্কার করতে হবে।”
এদিকে, আঞ্চলিক নিন্দা সত্ত্বেও সিরিয়ার বিরুদ্ধে আরও কয়েক ডজন বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
জর্ডানে সিরিয়া নিয়ে মধ্যপ্রাচ্য, তুরস্ক ও পশ্চিমা কূটনীতিকদের সঙ্গে সংলাপে যোগ দেওয়ার পরে সাংবাদিকদের অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ওয়াশিংটন এইচটিএসের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছে।
ব্লিঙ্কেন সাংবাদিকদের আরও বলেন, “আমরা এইচটিএস এবং অন্যান্য গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।”
জর্ডানের আলোচনায় সিরিয়ার কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। বৈঠকে অংশ নেওয়া আটটি আরব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেছেন, তারা নিশ্চিত করতে চান সিরিয়া ঐক্যবদ্ধ থাকবে এবং সাম্প্রদায়িক ভিত্তিতে বিভক্ত হবে না।
আসাদের মিত্র দেশ ইরান ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরাও এই আলোচনায় অনুপস্থিত ছিল।
সিরিয়ার বিদ্রোহীরা বাশার আল-আসাদের দীর্ঘ ২৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটায়, বিরোধী বাহিনী রাজধানী দখল করে এবং ৮ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্টকে রাশিয়ায় পালিয়ে যেতে বাধ্য করে।
আসাদ গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভ দমন করার পর ১৩ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের পর এই অভ্যুত্থান ঘটে।
এইচটিএস বিদ্রোহী নেতা আহমেদ আল-শারা সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ দিয়েছেন মোহাম্মদ আল-বশিরকে।