ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় এই নগরীর কাছে ইরানের প্রাণঘাতী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিবাদে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বাগদাদ।
Published : 16 Jan 2024, 07:31 PM
ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় ইরবিল নগরীর কাছে ইরানের প্রাণঘাতী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জেরে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। হামলার প্রতিবাদে ইরান থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করেছে ইরাক। বাগদাদে তলব করা হয়েছে ইরানের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে।
ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় মঙ্গলবার একথা জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, ইরানের হামলা ইরাকের সার্বভৌমত্বের প্রকাশ্য লঙ্ঘন। এমন হামলা ঘোরতরভাবে সুপ্রতিবেশীসুলভ আচরণ এবং আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি। আঞ্চলিক নিরাপত্তাও জন্যও তা হুমকি। বাগদাদ সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সব ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেবে।
ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড বলছে, ইরাকের আধা-সায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলে তারা ইসরায়েলের গোয়েন্দা সদরদপ্তরে হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের গুপ্তচরদের কাছ থেকে আসা হুমকি ঠেকানোই ছিল তাদের উদ্দেশ্য।
কুর্দিস্তান অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিষদের ভাষ্যমতে, হামলায় ৪ জন নিহত এবং ৬ জন আহত হয়েছে। ইরাকের কুর্দিস্তানের রাজধানী ইরবিলে যুক্তরাষ্ট্রের কন্স্যুলেটের কাছেই একটি আবাসিক এলাকায় হামলাটি হয়।
এক বিবৃতিতে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস বলেছে, “জায়নবাদী শাসকদের সাম্প্রতিক নৃশংসতার কারণে গার্ডসের ও প্রতিরোধ অক্ষের কমান্ডারা নিহত হয়েছে, এর জবাবে ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলে মোসাদের অন্যতম প্রধান গোয়েন্দা সদরদপ্তর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।”
গত মাসে সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলায় ইরানের গার্ডসের এক জ্যেষ্ঠ কমান্ডারসহ তিন সদস্য নিহত হয়েছিল। সিরিয়ায় তারা সামরিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছিলেন। ইরান এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছিল।
ইরবিলে হামলার পক্ষ সমর্থন করে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেছেন, তেহরান অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে শ্রদ্ধা করে। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি ঠেকানোর আইনসঙ্গত অধিকার ইরানের আছে।