এস্তোনিয়া ‘অবন্ধুসুলভ আচরণ করছে’ অভিযোগ তুলে দেশটির রাষ্ট্রদূতকে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাশিয়া ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গতবছর ফেব্রুয়ারিতে প্রতিবেশী ইউক্রেইনের আগ্রাসন শুরুর পর এই প্রথম রাশিয়া কোনও রাষ্ট্রদূতকে বরখাস্ত করল।
সোমবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এস্তোনিয়ার রাষ্ট্রদূত মার্গুস লাইদ্রেকে ডেকে পাঠিয়ে এ নির্দেশ দেওয়া হয় বলে জানায় বিবিসি।
পরে মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, এস্তোনিয়া ‘সম্পূর্ণরূপে রুশোফোবিয়ায় আক্রান্ত’।
২০১৮ সাল থেকে মার্গুস লাইদ্রে মস্কোয় এস্তোনিয়ার রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এরআগে তিনি যুক্তরাজ্য ও ফিনল্যান্ডে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন।
লাইদ্রে বরখাস্ত হওয়ার আগে এস্তোনিয়া সরকার রাজধানী তাল্লিনে অবস্থিত রুশ দূতাবাসকে সেখানে অবস্থিত কূটনীতিকের সংখ্যা জানুয়ারি মাসের মধ্যে ১৭ জন থেকে কমিয়ে আট জন করার নির্দেশ দিয়েছিল।
রাশিয়া যে তার যার পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। লাইদ্রের জায়গায় এখন তার থেকে নিচু পদের একজন কূটনীতিক মস্কোয় দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানায় বিবিসি।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়,‘‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, এস্তোনিয়া সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে রাশিয়ার সাথে সব ধরনের সম্পর্ক নষ্ট করছে। এটা সম্পূর্ণরূপে রুশোফোবিয়া, তাল্লিন আমাদের দেশের সঙ্গে বৈরী আচরণকে তাদের রাষ্ট্রীয় নীতি বানিয়ে নিয়েছে।
‘‘এখন এস্তোনিয়া রাতারাতি তাল্লিনে রুশ দূতাবাসের সদস্য সংখ্যা হ্রাস করার নির্দেশ দিয়ে নতুন করে অবন্ধুসুলভ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ মধ্যদিয়ে তারা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে ধস নামার বিষয়টি নিশ্চিত করছে।”
গত ১১ জানুয়ারি এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানুয়ারি মাসের মধ্যে রাশিয়ার দূতাবাসের কর্মী সংখ্যা হ্রাসের নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, মস্কোয় এস্তোনিয়ার দূতাবাসের কর্মী সংখ্যার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।